শূন্যে গুলি চালিয়ে ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন। মালদার মানিকচকের নূরপুর এলাকার ঘটনা। প্রকাশ্যে শূন্যে গুলি ছোড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই গুলি ছোড়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই। তবে, পুলিশ বন্দুকগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে।
কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা?
বৃহস্পতিবার মালদার মানিকচকের নূরপুরে ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল একটি ক্লাব। নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তার আয়োজন হয়েছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। তা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময় অনলাইন’) স্থানীয় কয়েকজন শূন্যে গুলি ছুড়ছেন। কোনও ক্লাব আয়োজিত ভলিবল প্রতিযোগিতার শুরুতে এই ধরনের গুলি ছোড়ার ঘটনা বাংলায় অন্তত নজিরবিহীন বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। গোটা বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি হেফাজতে নিয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ। গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি বন্দুকই লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে এ ভাবে প্রকাশ্যে শূন্যে গুলি ছোড়া অস্ত্র আইনের পরিপন্থি। তাই বন্দুকধারী মনসুর আহমেদ খান, মহম্মদ আমিনুর রহমান, আতকামা খান চৌধুরী এবং মহম্মদ ভকতাবক খানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
জেলার সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘এই ঘটনা সমাজের জন্য একেবারেই ভালো উদাহারণ নয়। খেলার উদ্বোধন ক্ষেত্রে বেলুন বা পায়রা উড়ুক, এটাই তো প্রথা!’ দক্ষিণ মালদার বিজেপি সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘আসলে এ ভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে।’ পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তিনি।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘এই ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ। যদি কারও দোষ থাকে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকারে গুলি করে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল গোটা রাজ্যে।