• হেলে পড়া বহুতল নিয়ে আতঙ্কে হাওড়ার বাসিন্দারা
    এই সময় | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • সুপ্রকাশ চক্রবর্তী, হাওড়া

    হেলে গিয়ে ঠেকে গিয়েছে পাশাপাশি দু’টি বহুতল, হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে। প্রথম তলার পর থেকে উপরের অংশ প্রায় ঠেকে গিয়েছে। দেখলেই মনে হচ্ছে, এই বুঝি একে অন্যের উপর আছড়ে পড়বে বাড়ি দু’টি। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর ধরে এই অবস্থায় রয়েছে বহুতল দু’টি। সম্প্রতি কলকাতার দক্ষিণ শহরতলিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যেও এই নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    বিষয়টি নিয়ে কেউ অবশ্য কোনও অভিযোগ জানাননি হাওড়া পুরসভায়। বাসিন্দারা জানান, সবাই মিলে একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হেলে থাকা বাড়ির বিষয়টি অনেক পুরনো হলেও বাসিন্দারা এত দিন সে ভাবে এই নিয়ে তেমন মাথা ঘামাননি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় তাঁদের মধ্যে আতঙ্কের সঞ্চার হয়েছে।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।’ অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা বলেন, ‘খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’ নীলাঞ্জন বোস বলেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। প্রোমোটারকে বললেও তিনি কর্ণপাত করেননি।’

    এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতা, যিনি বর্তমানে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীরও সদস্য, সেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেন, বহুতল বাড়িটি অনেক দিন ধরে হেলে আছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি নিজে অনেক আগেই পুরসভা থেকে শুরু করে সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কোনও লাভ হয়নি।’

    বহুতলটি বেআইনি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। প্রোমোটার তারাচাঁদ বাজাজ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বারান্দার অংশ বাড়াতে গিয়ে এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু দু’টি বহুতল নির্মাণে মাঝখানে কেন জমির ছাড় দেওয়া হয়নি, তার কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। পুর প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা ওখানে গিয়ে, সার্ভে করে, রিপোর্ট দেবে। তখনই এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

  • Link to this news (এই সময়)