• প্রসূতি মৃত্যুতে কাঠগড়ায় ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’, বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে পথে নামলেন কর্মহীন শ্রমিকরা
    এই সময় | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’। এই কোম্পানির যাবতীয় ওষুধ, স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ওই কোম্পানির কারখানা বন্ধ রয়েছে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে। দেড় মাস ধরে কর্মহীন কারখানার প্রায় তিনশো শ্রমিক। পুনরায় কারখানা চালু করার দাবিতে এ বার আন্দোলনে নামলেন কারখানার শ্রমিকরা।

    এই কোম্পানির স্যালাইন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হতো। গত বছর এই কারখানার তৈরি স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। কর্নাটক সরকার ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যাল’-কে কালো তালিকাভুক্ত ঘোষণা করে। এর পরেই গত ১১ ডিসেম্বর কারখানায় কাজ বন্ধের নোটিশ টাঙানো হয়।

    চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ফের চর্চায় উঠে আসে এই কোম্পানি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ওই কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। মৃত্যুও হয় এক প্রসূতির। ওই কোম্পানির যাবতীয় স্যালাইন ব্যবহার বন্ধের নোটিস দেয় রাজ্য সরকার।

    কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় প্রায় দু’মাস ধরে কর্মীদের বেতন বন্ধ। আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামল আইএনটিটিইউসি। শুক্রবার চোপড়া ব্লক সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল হক শ্রমিকদের নিয়ে চোপড়া বিডিও অফিসে হাজির হন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত কারখানা খোলার জন্য লিখিত দাবি জানানো হয় চোপড়া বিডিও-র কাছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিও সমীর মণ্ডল বলেন, ‘কর্মসংস্থান হারিয়ে ওঁরা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। আমরা সেটিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’

  • Link to this news (এই সময়)