শুক্রবার সাতসকালে বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের ফুলকুসমা বনাঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন
প্রতিদিন | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জামশেদপুর বনবিভাগের ঘাটশিলা বনাঞ্চল থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কি ফের বাংলায়? শুক্রবার সাতসকালে বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের ফুলকুসমা বনাঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন মেলায় সেই প্রশ্ন উঠছে। ছেঁদাপাথর এলাকায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই জিনাতের পুরুষ সঙ্গীর খোঁজ পেতে বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের তিনটি টিম ফুলকুসমা বনাঞ্চলে গিয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, ঘাটশিলা বনাঞ্চলে রয়েছে জিনাত প্রেমিক। তবে ফের এদিন সকালে তার পায়ের ছাপ মিলেছে বাংলায়। এই বাঘবন্দি অভিযানের তত্ত্বাবধানে থাকা রাজ্যের মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) সিঙ্গরম কুনাল ডাইভেল বলেন, “বাঘের পায়ের ছাপ আমরা পেয়েছি। বান্দোয়ানে থাকার সময় বাঘটি দক্ষিণ বাঁকুড়ার দিকে গিয়েছিল। ফলে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না পায়ের ছাপটি পুরনো না কি নতুন। তবে বিষয়টিকে আমরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারণ, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পক্ষে এক রাতে ৪০ কিমি হাঁটা অস্বাভাবিক নয়।” ঘাটশিলা বনাঞ্চলের ডাইনমারি থেকে জিনাত প্রেমিক যদি দক্ষিণ বাঁকুড়া বনবিভাগে প্রবেশ করে থাকে তাহলে তাকে হাঁটতে হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। এমন কথাই বলছে বনদপ্তর। বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগে নতুন করে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। হাতি তাড়াতে ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা বনাঞ্চলে যথেচ্ছ পটকা ফাটানোতেই রয়্যাল বেঙ্গল বাংলায় ঢুকে পড়ে বলে মনে করছে বনদপ্তর।
উল্লেখ্য, বর্ষশেষে জিনাত পুরুলিয়া থেকে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় ঢোকে। সেখানেই ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু হয় সে। এই বাঘটি মূলত জিনাতরে পথ অবলম্বন করেই চলছে। জামশেদপুরে যাওয়ার আগে রবিবার রাত পর্যন্ত বান্দোয়ানের কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের কাঁটাপাহাড় এলাকায় বাঘটি ছিল। তারপরে ঘাটশিলায় চলে যায়। শুক্রবার সকালের পায়ের ছাপ নতুন হলে চারদিনের ব্যবধানে ফের বাংলায় প্রবেশ করল জিনাত সঙ্গী। প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডে জিনাত প্রেমিকের প্রথম পায়ের ছাপ মিলেছিল। সেখানে একটি গাবাদি পশু ও বাছুর মেরেছিল সে।