বাঘের আতঙ্ক কাটতেই চাইছে না জঙ্গলমহল জুড়ে। জ়িনাতের পর যে বাঘটি এ রাজ্যে ঢুকেছিল, সেই বাঘ গত সোমবার ভোরে রাইকার ঘাঁটিহুলির জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ডের গালুডির দিকে রওনা দিয়েছিল। বাঘটি যে রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছে তা দুই রাজ্যের বনকর্তারাই নিশ্চিত করেন। শুক্রবার ফের নতুন করে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এবং বাঁকুড়ার রানিবাঁধে বাঘের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বাঘডুবি এলাকায় এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ‘পাগমার্ক’ দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। জঙ্গলের ভেতরে একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মীরা। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের দিক থেকে বাঘটি বাঁকুড়ার দিকে চলে এসেছে কি না সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখ্য বনপাল (সেন্ট্রাল সার্কেল) এস কুলানডেইভাল বলেন, ‘গতকাল রাতে সম্ভবত ওই রাস্তা দিয়ে গিয়েছে বাঘটি। ঝাড়খণ্ডে হাতি তাড়ানোর অভিযান চলছে। সেই কারণেই মনে হয় বাঘ এই রাস্তা দিয়ে ঘুরে ঝাড়গ্রামে ফিরেছে। বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে আছেন। তবে ওই পাগমার্ক পুরোনোও হতে পারে।’
অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড়ের কাছেও নতুন করে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা পায়ের ছাপ দেখেই বন দপ্তরকে খবর দেন। ইতিমধ্যেই এলাকায় মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার বান্দোয়ানে থাকা বাঘটি ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলার কালঝোরা এলাকায় বিচরণ করছে বলে জানিয়েছিল বন দপ্তর। কালঝোরা এলাকাটি বান্দোয়ান থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে। সেই কারণে বাঘটির ফেরত আসার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনাই সত্যি হলো কি না, তা নিশ্চিত করতে চাইছে বন দপ্তর।