উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন অভয়ারণ্যে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের থেকে টিকিট নেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই রাতারাতি নদিয়ার বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে প্রবেশমূল্য প্রত্যাহার করল বন দপ্তর। শুধু বেথুয়াডহরি নয়, রাজ্যের সমস্ত বনাঞ্চলের প্রবেশ মূল্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দপ্তর। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দারি করেছেন ডিএফও-রা। স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটকরা।
নদিয়ার বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে এতদিন পর্যন্ত পর্যটকদের মাথাপিছু প্রবেশমূল্য ছিল ১০০ টাকা। অনেকেই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এলে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যের টিকিট পদ্ধতি তুলে দিল বনদপ্তর। এ দিন অভয়ারণ্যের সামনে নোটিস দেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে যান। ১০০ টাকা প্রবেশমূল্য নিয়ে অতীতেও অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছিল একাধিক পর্যটকের কণ্ঠে। নতুন এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটকরা।
বিষয়টি নিয়ে নদিয়া মুর্শিদাবাদ বন বিভাগের মুখ্য বনপাল উৎপল নাগ বলেন, ‘আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত অভয়ারণ্য এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে টিকিট বাবদ কোনও অর্থ না নেওয়ার।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভায় স্থানীয় বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল অভিযোগ করেন, রাজাভাতখাওয়ায় প্রবেশের জন্য পর্যটকদের অনেক টাকা বন বিভাগকে দিতে হয়। এরপরেই বন বিভাগকে কড়া বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বার্তার ৪৮ ঘণ্টা পার হতে না হতেই রাজ্যের সমস্ত বনাঞ্চলে প্রবেশ মূল্য প্রত্যাহার করল বন দপ্তর।