নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: রাত পোহালেই সাধারণতন্ত্র দিবস। সারা দেশের পাশাপাশি বীরভূমে জেলাতেও যথাযথ মর্যাদায় সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হবে। তার আগে নাশকতা এড়াতে পুলিস জেলাজুড়ে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। পুলিসের তরফে জেলার ঝাড়খণ্ড সীমানায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সীমানা সংলগ্ন এলাকায় থাকা হোটেলগুলিও বাদ পড়ছে না। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিসের তরফে নাকাচেকিং শুরু করেছে। সেইসঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিসও জেলাজুড়ে নজরদারির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভৌগোলিক অবস্থানের বিচারে বীরভূম জেলাকে ঘিরে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চিমে বেশকিছুটা এলাকাজুড়ে প্রতিবেশী রাজ্যে ঝাড়খণ্ডের অবস্থান। একটা সময় বাংলা-ঝাড়খণ্ড আন্তঃরাজ্য সীমানা মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। সেখানে মাওবাদীদের তরফে একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল। বর্তমানে সেই মুক্তাঞ্চলে পুলিসের কড়া নজরদারি রয়েছে। যদিও বিস্তীর্ণ ওই সীমানা দিয়ে কয়লা থেকে শুরু করে গোরু, বালি, আগ্নেয়াস্ত্র সবই পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিসের তরফে আগেই আন্তঃরাজ্য সীমানায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলাজুড়ে পুলিসের তরফে সারপ্রাইজ নাকা চেকিংও শুরু হয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে সেই নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সীমানা এলাকা সহ বিভিন্ন প্রান্তের হোটেলে নজর রাখা হচ্ছে। কারা হোটেলে থাকছেন সেসব পুলিস খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি জেলা পুলিসের বিভিন্ন থানা এলাকায় একাধিক অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে অনেক দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়েছে। মাড়গ্রাম, ময়ূরেশ্বর সহ একাধিক থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। অভিযানে অনেক জায়গা থেকে বোমাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ সবের মধ্যেই আগামী কাল রবিবার বীরভূম জেলাজুড়ে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হতে চলেছে। তাই জেলা পুলিস নজরদারিতে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, সব টিম এলার্ট রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সীমানা সহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজর রাখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র