• বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে কোতুলপুরে বইমেলা শুরু
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ‘ভালো বই-ই পারে দ্বি-নেত্রধারী মানুষের মনশ্চক্ষুর উন্মীলন ঘটাতে। পৃথিবীর সমস্ত মঙ্গল এই জ্ঞানসাধনার মধ্যেই নিহিত। সেই বইকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন’। এমন উদ্দেশ্য নিয়েই শুক্রবার কোতুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বই মেলার সূচনা হয়। এদিন বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। উপস্থিত ছিলেন কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার, বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) নকুল মাহাত, অতিরিক্ত জেলা পুলিস সুপার(অপারেশন) মকসুদ হাসান, বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রমুখ।   মেলা কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তরুণ নন্দিগ্রামী বলেন, পাঁচদিন ধরে মেলা চলবে। ৪০টি স্টল বসেছে। মেলায় জেলা ছাড়াও কলকাতার বহু প্রকাশনী সংস্থা তাদের স্টল দিয়েছে। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।  মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির তরফে গত কয়েকবছর ধরে বইমেলা হয়ে আসছে। এবার তা পঞ্চম বর্ষে পড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে মেলার প্রস্তুতি চলছে। কিছুদিন আগে এনিয়ে কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্স হলে বৈঠক হয়। এদিন বিকেলে কোতুলপুর হাইস্কুল মাঠ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রায় বিধায়ক ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ বইমেলার অন্যান্য কর্মকর্তারা শামিল হন। স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ শোভাযাত্রায় হাঁটে। ছৌ-নৃত্য, রণপা, মহিলা ঢাকিদের ঢাকের বোল সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কোতুলপুর শহর পরিক্রমা করে পুনরায় মেলা প্রাঙ্গণে শেষ হয়। পরে মেলা প্রাঙ্গণে ‘মা সারদা’ মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রত্যেকেই বইয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন। কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালীবাবু বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা,সংস্কৃতি থেকে শুরু করে সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক প্রতিটি কাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বই পড়া কমলেও বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বই পড়ার অভ্যাস করলে তা আমাদের মানসিক চিন্তা ও জ্ঞানের প্রসার ঘটাবে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)