• পূর্বস্থলীতে লোকসংস্কৃতি ও কৃষি মেলায় প্রাণিসম্পদ দিবস পালন
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: পূর্বস্থলী-১ ব্লকে চলছে আটদিনের লোকসংস্কৃতি উৎসব ও কৃষি, প্রাণিসম্পদ, হস্তশিল্প এবং আদিবাসী মেলা। শুক্রবার মেলার ষষ্ঠদিনে স্থানীয় যুব সঙ্ঘের মাঠে পালিত হল প্রাণিসম্পদ দিবস। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তীর্থকুমার দত্ত, প্রাক্তন উপাচার্য শ্যামসুন্দর দানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন মেলা প্রাঙ্গণ থেকে প্রাণিপালনে উৎসাহ দিতে এক হাজারের বেশি হাঁসের বাচ্চা বিনামূল্যে উপভোক্তাদের মধ্যে বিলি করা হয়।


    দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, একদশক আগেও ডিম, দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটাতে রাজ্যকে অন্য রাজ্যের ভরসায় থাকতে হতো। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে অনেকটাই স্বনির্ভর হয়েছে। একসময় প্রাণিপালনে উৎসাহ দিতে গ্রাম বাংলায় বছরে এক লক্ষ হাঁস, মুরগি সহ অন্যান্য প্রাণী বিলি করা হতো। আজ গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বছরে প্রায় দেড় কোটি হাঁস, মুরগি, বকনা বাছুর, শুয়োর ছানা সহ অন্যান্য প্রাণী বিলি করা হয়। তাতেই সুফল মিলেছে। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের শ্রীরামপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মী চক্রবর্তী সরকারিভাবে একটি মাত্র ছাগল নিয়ে তা প্রতিপালন শুরু করেন। তা থেকে বাড়িতেই শতাধিক ছাগলের ফার্ম বানিয়ে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।  


    স্বপনবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় আজ রাজ্য দুধ, ডিম ও মাংসের জোগানে অন্য রাজ্যের উপর খুব একটা নির্ভরশীল নয়। দেশে দুধ উৎপাদনে আমরা চতুর্থ। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির নিরিখে ডিম ও মাংসে আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি। কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে বকনা বাছুর উৎপাদনে বড় সাফল্য এসেছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। 


    উপাচার্য তীর্থকুমার দত্ত বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে গরিব মানুষের বাঁচার বড় মাধ্যম হল প্রাণিপালন। বিজ্ঞান ভিত্তিক ও বাণিজ্য ভাবনার প্রসারে বড় সাফল্য আসে। গ্রামীণ এলাকায় এমন মেলা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)