• গ্রামীণ বইমেলা আয়োজনে স্কুল থেকে চাঁদা, বিতর্ক 
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের সামসি কলেজ ময়দানে অনুষ্ঠিত পঞ্চম মালদহ জেলা গ্রামীণ বইমেলা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সরকারি এই গ্রামীণ বইমেলার জন্য এলাকার স্কুল থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই মেলা উপলক্ষ্যে চাঁচল- ২ ব্লকের বিভিন্ন সরকারি স্কুলকে চাঁদার রসিদ পাঠানো হয়েছে। এই নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এলাকার স্কুলগুলির শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, বইমেলায় চাঁদা দেওয়ার জন্য স্কুলের কোনও তহবিল নেই। তবে চাঁদা আসবে কোথা থেকে? স্কুলের উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা দিতে হলে স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে পাশ করাতে হবে। কোনও স্কুলের কাছে দশ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার স্কুলে স্কুলে  চাঁদার রসিদ পাঠানো হয়েছে। সেই চাঁদার রসিদে সভাপতি ও কার্যকরী সম্পাদক হিসেবে নাম রয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি ও  তাঁর ছেলে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রিয়াজুল করিম বক্সির। এই নিয়ে এলাকার স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।  


    একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকারি উদ্যোগে বইমেলা অনুষ্ঠিত হলে তার জন্য সরকারিভাবেই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার জন্য এলাকার স্কুলে স্কুলে চাঁদা তোলার কথা আগে শুনিনি। প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগে জেলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা সদরে। তার জন্য স্কুলগুলির কাছে চাঁদা দাবি করা হয়নি। গ্রামীণ বইমেলার জন্য স্কুলের কাছে কেন চাঁদা নেওয়া হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।  বইমেলার কার্যকরী সম্পাদক জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রিয়াজুল করিম বক্সির বক্তব্য, সরকারি উদ্যোগে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারি স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে। কোনও স্কুলের কাছে জোর করে চাঁদা আদায় করা হয়নি। 
  • Link to this news (বর্তমান)