• মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের বহুতলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উদ্যোগী হল দুই পুরসভা
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা,মেদিনীপুর: কলকাতায় একের এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা দেখে শিক্ষা। মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে বহুতল এবং আবাসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে উদ্যোগে পুরসভা। মেদিনীপুর পুরসভা ইতিমধ্যেই প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে। খড়্গপুরে ডাকা হচ্ছে মিটিং। প্রতিটি বহুতল সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনে বাইরের অভিজ্ঞদের ডাকা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে খড়্গপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। 


    মেদিনীপুর শহরে বেশ কয়েক বছরে বিভিন্ন এলাকায় মাথা তুলেছে বহুতল। এমন কোনও পাড়া নেই যেখানে বহুতল নেই। সেগুলির নির্মাণ নিয়ে মাঝে মধ্যেই অভিযোগও ওঠে। খড়্গপুর শহরে অবশ্য সেতুলনায় বহুতল নেই বললেই চলে । তবে বহু আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, শহরে একটি বহুতল নির্মাণের কাজও চলছে। অভিযোগ, খড়্গপুর শহরের কয়েকটি পাড়ায় জলাশয় বুজিয়ে আবাসন গড়ে উঠেছে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।  


    মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খাঁ বলেন, মেদিনীপুরে জলাশয় বুজিয়ে কোনও বহুতল গড়ে ওঠেনি। ফলে, এখানে হেলে পড়া কিংবা ভেঙে পড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবুও সাবধানের মার নেই। বহুতল গুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রোমোটারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তাঁদের আর্কিটেকচর ও ডিজাইনারদের সার্টিফিকেট পুরসভায় জমা দিতে বলা হয়েছে। ডিজাইনের কপিও জমা দিতে বলা হয়েছে। অনেকে জমা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই সব খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে। কোনও অভিযোগ এলে পুরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। 


    খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ বলেন, আমাদের শহরে বহুতল নেই। সবই জি প্লাস সিক্স। দুয়ারে সরকার প্রকল্প শেষ হলেই প্রোমোটারদের নিয়ে মিটিং ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের সব কাগজ খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, কয়েকটি জায়গা থেকে জলাশয় বুজয়ে আবাসন গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি পরিদর্শন করা হবে। সেরকম হলে আমরা বাইরে থেকে এই বিষয়ে অভিজ্ঞদের নিয়ে এসে ওই সব আবাসনগুলির নির্মাণ কাঠামো খতিয়ে দেখার কাজ করব। বিষয়টি পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার দেখছেন। 


    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে মেদিনীপুরে বহুতল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খাঁকে জবাবদিহি করতে হয়েছিল। কী করে এত বড় বড় বহুতল শহরে গড়ে উঠেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দিয়ে যান, জি প্লাস সিক্স ছাড়া কোনও আবসনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এদিকে  শহরে এই সব আবাসন ও বহুতলের নিচে গড়ে উঠেছে বড় বড়  শপিংমল, বিভিন্ন কোম্পানির শোরুম। অভিযোগ অনেক জায়গাতেই পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে রাস্তার ওপরই দাঁড়িয়ে থাকে মোটরবাইক, সাইকেল এমনকী চারচাকা গাড়িও। ফলে, পথচলতি মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)