সংবাদদাতা, মানকর: নতুন বছরের প্রথম মাসেই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে কাঁকসা ব্লকজুড়ে এই শিবির শুরু হয়েছে। শিবিরগুলি থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা বা যে কোনও পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে কোনও সরকারি দপ্তরে গিয়ে প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা বা ওই প্রকল্প সংক্রান্ত অন্য কোনও কাজ করার প্রয়োজন পড়ছে না। তাই দুয়ারে সরকার শিবিরের দিকে এলাকাবাসীর নজর থাকে। এবার প্রথম দিনেই দেখা গেল ক্যাম্পে ব্যাপক ভিড়। প্রত্যাশা মতোই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী সব প্রকল্পেই ভিড় করলেন বিভিন্ন এলাকার মানুষরা। বনকাটি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিমটিকুড়ি এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভিড় করলেন বহু মানুষ। স্থানীয়রা ছাড়াও বনগ্রাম, কোটালপুকুর, খোরোবাড়ি থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন ক্যাম্পে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের আবেদন করলেন বহু মহিলা। ওবিসি সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ভিড় করলেন মানুষরা। ক্যাম্পে উপস্থিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রভাত চন্দ বলেন, প্রত্যেক বিভাগের আলাদা আলাদা টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের এসে যাতে অসুবিধায় না পড়েন সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এদিন কাঁকসা পঞ্চায়েত পঞ্চায়েতের অনুরাগপুরেও দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয়েছে। অনুরাগপুর ছাড়াও নতুনপাড়া, জুবলিপাড়া, রেলপাড়ের বাসিন্দারা ক্যাম্পে ভিড় করেন। কাঁকসা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উজ্জ্বল মল্লিক বলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাশাপাশি বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা প্রকল্পে আবেদনে অনেকে ভিড় করেছেন। পাশাপাশি খাদ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিকরণ ও সংযুক্তিকরণের জন্য ভিড় ছিল। ক্যাম্পে উপস্থিত উপভোক্তা সুজাতা রাউত বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মেয়েদের সংসারে স্বীকৃতি দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় যেমন নিজের শখ পূরণ করতে পারছি, তেমনই সাধ্য মতো স্বামী, সন্তানের পাশেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিটি পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত দুয়ারে সরকার। প্রথম থেকেই ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। এবার নবম দুয়ারে সরকারের প্রথম দিন থেকেই একই ভিড় দেখা যাচ্ছে। মানুষ খুশি।