দুয়ারে সরকারে রেকর্ড সংখ্যক শিবির মালদহে, প্রথম দিনেই উপচে পড়ল মহিলাদের ভিড়
বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, মালদহ: নবম দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মালদহ জেলায় এবার রেকর্ড সংখ্যক শিবিরের আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন। ফলে উপকৃত উপভোক্তার সংখ্যাও বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকেই। শুক্রবার থেকে আরম্ভ হওয়া নবম দুয়ারে সরকার শিবির চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বেড়েছে এই শিবির থেকে প্রাপ্ত সুবিধার সংখ্যাও। এখন থেকে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনার আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদনের সুবিধাও থাকছে দুয়ারে সরকার শিবিরে। এদিন সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি শিবির পরিদর্শনের পাশাপাশি আমজনতাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করতে ময়দানে নামতে দেখা যায় খোদ জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া ও পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদবকে। এছাড়াও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই দুয়ারে সরকার শিবিরের প্রথম দিন বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
জেলাশাসক বলেন, পঞ্চম দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে জেলায় শিবিরের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬৬টি। এখনও পর্যন্ত তাই ছিল জেলায় সর্বোচ্চ শিবিরের সংখ্যা। কিন্তু এবার আমাদের শিবিরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৪টিতে। এটিই এখনও পর্যন্ত মালদহে সর্বোচ্চ দুয়ারে সরকার শিবিরের সংখ্যা। যে আবেদনগুলি এই শিবিরে জমা পড়বে সেগুলি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার শিবির সফল করতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার রূপায়ণের জন্য একটি জেলা স্তরের টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে থাকছে দু’টি করে মডেল শিবির। শিবিরে উপলব্ধ প্রকল্পগুলি সম্বন্ধে আমজনতাকে সচেতন করতে প্রচারে নেমেছেন জেলার লোকপ্রসার শিল্পীদের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ও কন্যাশ্রী বাহিনী।
জেলাশাসক বলেন, এদিন গাজোলের দেওতলায় আমরা শিবিরে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা রাস্তা নির্মাণ, পথবাতি সহ বেশকিছু বিষয় আমাদের জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে বিষয়গুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।
এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে মহিলাদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে বিভিন্ন শিবিরে। ইংলিশবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর বিআরএস উচ্চ বিদ্যালয়ে শিবিরের সুবিধা নিতে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে আসা ঝুমা বিবি বলেন, আগে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নথিভুক্ত হইনি। এবার তাই নতুন করে আবেদন করতে এসেছি। টাকাটা পেলে অভাবের সংসারে অনেকটাই সুবিধা হবে। পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরী বলেন, মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই মানুষের কাছে সর্বদাই গ্রহণযোগ্য।