• ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অপারেশন করে রোগিণীকে মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে বাঁচাল ইএনটি বিভাগ
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: করোনার সংক্রমণ এখন আর সেভাবে ধরা না পড়লেও তার দোসর ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’-র অস্তিত্ব জিইয়ে রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মাইকর মিউকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীর সে ধরনের কোনও উপসর্গ থাকে না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ‘ক্লিনিক্যাল আই’ এরকমই এক রোগিণীকে মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে ফিরিয়ে আনল। 


    গত বৃহস্পতিবার সফল অস্ত্রোপচারে সাইনাসে আক্রান্ত ওই রোগিণীর শরীর থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বের করেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ইনএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁসিদেওয়া থানার চটহাটের বাসিন্দা তুলি বেগম অনেকদিন ধরেই সাইনাসের সমস্যায় ভুগছিলেন। ডিসেম্বর মাসে তাঁর সাইনাস অপারেশন হয়। কিন্তু তাঁর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ বোঝা যায়নি। তবু নিয়মমাফিক অপারেশনের পর বায়োপসি করা হয়েছিল। পরে সেই রিপোর্ট আসতেই জানা যায় তুলি বেগম  ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। 


    হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাত বলেন, ওই রোগিণীকে খবর দিয়ে এনে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না তাঁর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের বিষয়টি। মাইক্রো বায়োলজির রিপোর্টে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস পাওয়ায়  পর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিই আমরা। বৃহস্পতিবার সফল অস্ত্রোপচার করে সাইনাস  ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মুক্ত করা হয়েছে। এই ফাঙ্গাস তাঁর  সাইনাস এবং করোটির সামনের দিকের হাড়ে ক্ষয় শুরু করেছিল। অস্ত্রোপচার না করলে জানা যেত না। নীরবে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে তিনি এগিয়ে যেতেন। 


    ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাত বলেন, করোনা সংক্রমণ এবং তার পরবর্তীকালে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত বহু রোগী আমরা পেয়েছি। সকলের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তুলি বেগমের ক্ষেত্রে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়েছিলাম তাঁর কোনও উপসর্গ না থাকায়। দীর্ঘদিন ধরে সাইনাস, সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ ওষুধেই না সারলে দ্রুত ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)