• বালি ব্রিজের একাংশ বন্ধ, ভোগান্তি হলেও পুলিসি তৎপরতায় মিলল সুরাহা
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: ভোগান্তি যে চলবে, আন্দাজ করা গিয়েছিল বৃহস্পতিবারই। শুক্রবার দেখা গেল, হয়রানি থাকলেও পুলিসি তৎপরতায় কিছুটা সুরাহা হচ্ছে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষের। বৃহস্পতিবার হাইওয়ে সংলগ্ন বালি হল্ট স্টেশনের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করে দেওয়ায় দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। কিন্তু বালি হল্ট স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে নেমে বেশ কিছুটা রাস্তা ঘুরে বালি স্টেশন পর্যন্ত যেতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে প্রবীণ ও বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের। ২২ জানুয়ারি বুধবার রাত ১২টা থেকে আংশিক বন্ধ রয়েছে বালি ব্রিজ। ২৭শে জানুয়ারি ভোর ৪টে পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বর থেকে বালির দিকে যাওয়ার লেনে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার নেতাজি জয়ন্তীর ছুটি থাকায় চাপ কিছুটা হলেও কম ছিল। শুক্রবার অফিসের ব্যস্ত সময়ে তাই ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। এদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা প্রায় ১১টা পর্যন্ত বালি হল্ট স্টেশনের পাশে কলকাতাগামী লেনে বাসের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সেই সঙ্গে ছিল অফিসযাত্রীদের গিজগিজে ভিড়। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে এদিন বালি স্টেশন থেকে বালি হল্ট স্টেশন পর্যন্ত নানা জায়গায় ব্যানার টাঙিয়ে পথনির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি, যাত্রীদের সাহায্যার্থে প্রচুর সংখ্যায় পুলিসকর্মী মোতায়ন করা হয়। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে কীভাবে বালি স্টেশন পর্যন্ত যাবেন, কীভাবে মেইন লাইনে ট্রেন থেকে নেমে ধূলাগড়, ডানকুনি রুটের বাস কীভাবে ধরবেন, তা জানাতে মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয় এদিন। অফিসযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, পুলিস সাহায্য করছে ঠিকই। কিন্তু অনেকটা রাস্তা ঘুরে বাস ধরতে হচ্ছে। ব্রিজের কাজ দরকার অবশ্যই। কিন্তু যাত্রীদের কথা ভেবে বিকল্প ব্যবস্থা আরও ভালোভাবে করা যেত বলে মনে করছেন তাঁরা। 


    কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বাসগুলি এদিন নিবেদিত সেতু পার হয়ে বালি হল্ট স্টেশনের পাশে তৈরি হওয়া অস্থায়ী বাসস্টপে যাত্রীদের নামিয়েছে। কিন্তু বালি হল্ট স্টেশনের সিঁড়ি ভেঙে ঘুরপথে বালি স্টেশন পর্যন্ত যেতে চরম সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। বালি মেইন স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে বাস রুট খুঁজতে তাঁদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)