• সময়ের আগেই ‘বাংলার বাড়ি’র দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে আর্জি উপভোক্তাদের
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পূর্ব বর্ধমানের ময়না রাউত বহু বছর ধরে ছেঁড়া ত্রিপল আর ভাঙা বেড়ার ঘরে বাস করছিলেন। বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে তড়িঘড়ি ঘর তোলার কাজ শুরু করে দেন। বর্তমানে অনেকটা এগিয়েছে নির্মাণ কাজ। বর্ষার আগেই তিনি বাড়ির কাজ শেষ করতে চাইছেন। তাই দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন। এর পাশাপাশি নদীয়ার মুকুটেশ্বর মণ্ডল দু’টি পাকা দেওয়ালের উপর ত্রিপল খাটিয়ে বাস করছিলেন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েই নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়েছেন। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা পেলে শেষ করে ফেলবেন নতুন বাড়ি তৈরি। এখন জেলা প্রশাসনের কাছে দরবার শুরু করেছেন।এই উপভোক্তাদের মত বহু মানুষ এখন দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লক অথবা গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছেন। কারণ তাঁরা বাড়ির প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে সে সংক্রান্ত খবর পৌঁছয়। তারপর তারা খোঁজখবর নিতে শুরু করে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের লক্ষাধিক মানুষ এখন দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে দরবার করছেন। বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মে মাস থেকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। কিন্তু মানুষ তার আগেই টাকা হাতে পেতে চাইছেন। বাড়ি শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সরকারি আধিকারিকরা বলেন, বাড়ি শেষ করার তাগিদ দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। এটি ইতিবাচক বিষয়।প্রথম পর্যায়ের ১২ লক্ষ উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজে যাতে টাকা খরচ করেন তা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেয় নবান্ন। সে কথা মাথায় রেখে দপ্তর থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা হল, প্রত্যেক উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে তৈরির কাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি তুলে বাংলার বাড়ি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। গৃহ নির্মাণের টাকা নয়ছয় বা অন্য কোথাও খাতে উপভোক্তারা যাতে খরচ না করে ফেলেন, সেটা নিশ্চিত করবে পঞ্চায়েত।
  • Link to this news (বর্তমান)