জটিল রোগে আক্রান্ত একরত্তি চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন অভিষেক, ডায়মন্ডহারবারে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি
বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’বছরের কৃতী মান্নাকে নিয়ে ‘সেবাশ্রয়’ ক্যাম্পে এসেছিলেন বাবা-মা। শিশুটি জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে যে ইনজেকশনগুলি প্রয়োজন, তা কলকাতায় পাওয়া যায় না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দিল্লির এইমস থেকে ওই ইনজেকশনগুলি পাওয়া সম্ভব। এই অবস্থায় কৃতীর যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিষ্ণুপুরে ‘সেবাশ্রয়’ ক্যাম্পে কৃতীকে নিয়ে আসেন তার বাবা-মা। বিষ্ণপুর ২ নং ব্লকে তাঁদের বাড়ি। শিবিরে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অভিষেক। শিশুটির শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই ইনজেকশনগুলি যাতে কলকাতা থেকে পাওয়া সম্ভব হয় এবং শিশুটির উন্নততর চিকিৎসা যাতে কলকাতা থেকেই পাওয়া যায়, সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন অভিষেক। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ। বিশেষ ইনজেকশনগুলির একটি সিরিজ রয়েছে। সেটির ‘কোর্স’ শেষ হওয়ার পর শিশুটির একবার প্লাস্টিক সার্জারি করা হতে পারে। এই অবস্থায় একরত্তির চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন ‘সেবাশ্রয়’-এর কাণ্ডারী অভিষেক।
কয়েকদিন আগে অভিষেকের উদ্যোগে ৯ বছরের শিশু আলতাফ হোসেন ঘরামির জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে। আলতাফের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সুস্থ হয়ে উঠছে সে। এদিন আলতাফকে দেখতে হাসপাতালে যান সাংসদ। চিকিৎসক এবং আলতাফের অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
গত ২ জানুয়ারি থেকে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি শুরু করেছেন ডায়মন্ডহারহারের সাংসদ। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষা, ওষুধ প্রদান, প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এখান থেকে। ৭৫ দিন ধরে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচির আওতায় ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভায় প্রায় ৪০টি জায়গায় স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির চলছে। ইতিমধ্যে ডায়মন্ডহারবার ও ফলতা বিধানসভায় শেষ হয়েছে এই কর্মসূচি। এখন চলছে বিষ্ণুপুর বিধানসভায়।
এদিন বিষ্ণুপুরের পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত মাঠে আয়োজিত ‘সেবাশ্রয়’ ঘুরে দেখেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কতদিন এই স্বাস্থ্য শিবির চলবে, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, তার বিস্তারিত তথ্য মানুষকে জানান অভিষেক। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলের সঙ্গেও কথা বলেন।
বিষ্ণুপুর বিধানসভার অধীনে অন্যান্য ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরগুলিও ঘুরে দেখেন তিনি। পরে অভিষেক বলেন, ‘সেবাশ্রয়-এর মূল অঙ্গীকার নিঃস্বার্থ মানবসেবা। রাজনৈতিক জীবনে সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদান আমার ব্রত। গত দশ বছরের বেশি সময় ধরে আমি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত যেন সেভাবেই যাতে থাকতে পারি, এটাই আমার