নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কয়েকদিন আগে মধ্যমগ্রামে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায় পুলিস। সেখান থেকে ছ’জনকে পুলিস গ্রেপ্তারও করে। সেন্টারটি থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে ফোন করে আর্থিক প্রতারণা করা হতো। এনিয়ে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই আটটি মোটা অঙ্কের প্রতারণার হদিশ পেয়েছে পুলিস। অঙ্কটা মোট কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে মনে করছে পুলিস! পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া পাসবুক থেকে ব্যাঙ্কের লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মধ্যমগ্রামের শিশিরকুঞ্জ এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রায় তিনবছর ধরে চলছিল একটি কল সেন্টার। মালিকের নাম সুমন দে। সেন্টারে মোট ৩৪ জন কর্মী কাজ করতেন। এর মধ্যে ২৩ জন মহিলা। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বারাসত সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস কল সেন্টারটিতে হানা দেয়। দেখা যায়, মূলত ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই কল সেন্টার। রীতিমতো ‘স্ক্রিপ্ট’ তৈরি করতে চলত প্রতারণা। এই কাজে ব্যবহৃত হতো দু’টি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ, ৩৬টি কিপ্যাড ফোন ও ছ’টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন। পুলিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিপ্যাড ফোন ব্যবহার করেই প্রতারণা করত তাঁরা। প্রায় সিমকার্ড পরিবর্তন করা হতো। ফলে, ফোন নম্বর ধরে লোকেশন ট্র্যাক করা সহজ হতো না। এই কারবারে আর কোনও ফোন রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিমকার্ডগুলি একাধিক নামে কিনত প্রতারকরা। এছাড়া প্রতারিতদের কাছে দাবি করা হতো আধার কার্ড। সেই কার্ডগুলিও জালিয়াতি করে সিম কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সাইবার পুলিস। দপ্তরের এক কর্তার কথায়, এখনও পর্যন্ত মোট আটটি বড় প্রতারণার হদিশ মিলেছে। এনিয়ে বারাসতের এসডিপিও আজিঙ্কে বিদ্যাগর অনন্ত বলেন, টাকা মানুষের থেকে নিয়ে কোন কোন অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিম কার্ডের বিষয়টিতেও আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।