সকালে সার্ভার সমস্যা ভোগালেও প্রথম দিনে শিবিরে ভিড় মানুষের
বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: নবম পর্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। কিন্তু প্রথম দিনেই সার্ভার ডাউন থাকায় বিপত্তি। সকালে বেশ কিছুক্ষণ কাজ বন্ধ ছিল অনেক জায়গায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় সকালের দিকে কয়েক ঘণ্টা আবেদন করতে অসুবিধায় পড়ে সাধারণ মানুষ। তারপরও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিবিরগুলিতে ভিড় বেড়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে এদিন বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ফর্ম পূরণ করতে আসা আবেদনকারীদের বলা হয়, সার্ভার ঠিক না হলে রেজিস্ট্রেশন করা হবে না। দীর্ঘক্ষণ সমস্যা না মেটায় বাধ্য হয়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ফর্ম জমা নেন বিভিন্ন ক্যাম্পের সরকারি কর্মীরা। বারাকপুর মহকুমায় এদিন সকালের দিকে পোর্টালে সমস্যা থাকার কারণে ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়া যায়নি। বেলার দিকে অবশ্য সবটা স্বাভাবিক হয়। মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক বারাকপুর পুরসভার শিবির সহ বিভিন্ন ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। তিনি জানান, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখা গিয়েছে। সব ক্যাম্পেই ভালো ভিড় ছিল। হুগলির হরিপাল, জাঙ্গিপাড়া সহ বহু জায়গায় সকালের দিকে ঘণ্টাখানেক কাজ বন্ধ ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা ১০ থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সার্ভার সমস্যা থাকায় কেউ আবেদন করতে পারেননি। এই জেলায় মোট ৫,৪৯০টি ক্যাম্প হচ্ছে। সব জায়গায় ভালো ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার ডিএম, এডিএমরা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। কথা বলেন আবেদনকারী থেকে শুরু করে ক্যাম্পের কর্মীদের সঙ্গে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সোনারপুর ব্লকের বনহুগলি ১ পঞ্চায়েতের একটি শিবিরে যান জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের চণ্ডীপুরে শিবির পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দিব্যা মুরুগাসন, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানসকুমার মণ্ডল সহ অন্যান্যরা। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসত থেকে হাবড়া, মিনাখাঁ থেকে সন্দেশখালি—প্রতিটি শিবিরে ছিল মহিলাদের লক্ষণীয় ভিড়। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ও বার্ধক্য ভাতার জন্য লাইন ছিল সবচেয়ে বেশি লম্বা। এই জেলায় মোট ১২,৬৪৩ টি ক্যাম্প হবে। নদীয়ার কল্যাণী, চাকদহ ও হরিণঘাটাতেও উৎসাহ ছিল।