• খড়দহে বেআইনি নির্মাণ ও পুকুর ভরাট   নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে সরব শোভনদেব
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন পুরসভায় বেআইনি নির্মাণের রমরমা। আকছার ওঠে পুকুর ভরাটের অভিযোগ। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই পুরসভা কার্যত ঠুঁটো হয়ে থাকে বলে শোনা যায়। বাসিন্দারা বলেন, কাউন্সিলারদের মদতে এসব অবৈধ কারবার চলছে বাধাহীনভাবে। এই অবস্থায় এবার খড়দহ পুরসভা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রায় দিনই পুকুর ভরাট রুখতে পুলিস ও প্রশাসনকে ফোন করতে হয় আমাকে। বেআইনি বহুতল তৈরির অভিযোগ আসছে। পুরসভাকে ন্যায়ের পথে থাকার কথা বারবার বলেও তেমন লাভ হচ্ছে না।’ মন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই খড়দহে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, এমন কোনও অনিয়ম হচ্ছে বলে তাঁর জানা নেই। 


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি খড়দহের বলরাম হাসপাতাল লাগোয়া এম এস মুখার্জি রোডের একটি জমিতে পুরসভার বোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ,  বেসরকারি ট্রাস্টের জমিতে পুরসভা বোর্ড লাগিয়ে নিজেদের জমি বলে দাবি করেছিল। তা নিয়ে বিস্তর হইচইও হয়। শুধু তাই নয়, পুরসভার টেন্ডারে অনিয়ম নিয়েও অনেক কাউন্সিলার সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বড় কাজকে ভেঙে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ই-টেন্ডার না করতে হয়। এছাড়া বেআইনি বহুতল ও পুকুর ভরাট তো আছেই। 


    বৃহস্পতিবার খড়দহে এক অনুষ্ঠানে এসে শোভনদেববাবু বলেন, ‘বোর্ড মিটিং ছাড়াই অফলাইনে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। পুকুর ভরাট বন্ধ করতে প্রায় প্রতিদিন থানায় ফোন করতে হয়। কখনও আবার জেলাশাসক ও পুলিস কমিশনারকেও ফোন করতে হচ্ছে। যারা এই কাজ করছে, তারা সজ্ঞানে ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতি করছে। অন্যায় করছে। আমি পুরসভাকে ন্যায়ের পথে থাকতে বলেছিলাম। পুকুর ভরাট করতে দেবেন না, বেআইনি প্ল্যান দেবেন না। অথচ যে রাস্তায় দোতলা-তিনতলার বেশি বাড়ি হয় না, সেখানে বলা হচ্ছে মতো বাড়ি করে নাও। পরে ফাইন দিয়ে দেবে। তাতে দুই তরফেই লাভ! কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি হয়ে গেল। আমি এসব অন্যায় বরদাস্ত করব না।’ পুরসভার চেয়ারম্যান নিলু সরকার বলেন, ‘এমন কোনও অভিযোগ আমার জানা নেই। পুকুর ভরাট হলে পুরসভা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বেআইনি বহুতলের কোনও অভিযোগ নেই। অফলাইনে কোনও প্ল্যান পাশ হয় না। টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগও ভিত্তিহীন। মন্ত্রী কেন এমন বলছেন, তা আমি জানি না।’
  • Link to this news (বর্তমান)