মালদার কালিয়াচকের তৃণমূল কর্মী হাসান শেখকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও দুই। গত ১৪ জানুয়ারি হাসানকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে আব্দুল আলিম ও জাবিউল মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে হাসান শেখ খুনে জড়িত সন্দেহে মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার হলো। পুলিশের দাবি, হায়দরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুলকেই ইট দিয়ে হাসানের মাথায় পরপর আঘাত করতে দেখা গিয়েছিল।
সূত্রের খবর, খুনের পর থেকেই আব্দুল ও জাবিউলের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায় হায়দরাবাদে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তদন্তকারীরা তেলঙ্গনা পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই দু'জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, কালিয়াচকের দারিয়াপুর মোমিনপাড়ায় তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে ১৪ জানুয়ারি গুলি চলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বকুল শেখ গুলিবিদ্ধ হন। সেখানেই তৃণমূল কর্মী হাসানকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ পরের দিন নয়াবস্তির বাসিন্দা আমির হামজা নামে ২৪ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দাবি, আমিরকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত জ়াকির শেখকে। তিনিও তৃণমূলেরই কর্মী। জ়াকির এবং তাঁর দলবলই অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার হাসান খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াউল হক নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল কালিয়াচক থানার পুলিশ।
রিয়াউলকে টানা জেরা করে জানা যায়, খুনের পরে আব্দুল ও জাবিউল হায়দ্রাবাদে পালিয়ে গিয়ে সেখানে লুকিয়ে রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সেখানে যায় ও দু'জনকে গ্রেপ্তার করে।
মালদহের ইংরেজবাজারে কিছু দিন আগেই খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। দুলাল খুনের ১২ দিনের মাথায় খুন হন কালিয়াচকের হাসান শেখ। শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই দুলাল ও হাসান খুন হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।