• দেওয়ালে ছিল রক্তের ছোপ, কেন 'সিল করে' আরজি করের ৮ তলার ঘর পরীক্ষা করেনি CBI?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা কি আদৌ চারতলার সেমিনার রুমে হয়েছিল? সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার পরও সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকেরই মনে। এরই মাঝে মাঝখানে ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়েরই আটতলার অর্থোপেডিক বিভাগের অপারেশন থিয়েটার ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছিল। এদিকে সম্প্রতি আবার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএল-এর রিপোর্ট সামনে এসেছিল, যাতে দাবি করা হয়েছিল, সেমিনার রুমে কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন ছিল না। এর জেরে আরও সন্দেহ বাড়ে 'ঘটনাস্থল' নিয়ে। এই আবহে এবার আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আটতলার ওই অপারেশন থিয়েটার সিবিআই পরীক্ষাই করেনি। এই বিষয়ে আরজি কর আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, যেখানে সেই অপারেশন থিয়েটার নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছিল, তাহলে কেন সেটা পরীক্ষা পর্যন্ত করল না সিবিআই?


    উল্লেখ্য, ১৪ অগস্টের পরে সুপ্রিম নির্দেশে আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর একদিন ইমার্জেন্সি ভবনের ৮ তলার সেই ওটি-তে গিয়েছিলেন হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী। সেই সময় অপারেশন থিয়েটারে কিছু গ্লাভস প থাকতে দেখা গিয়েছিল, যাতে লালচে ছাপ ছিল। এদিকে সেখানে অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ব্লেডও পড়ে ছিল। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানদের জানানো হয়। সেই সময় জওয়ানরা সেখানে গিয়ে খতিয়ে দেখলে দেওয়ালে রক্তের ছোপ দেখতে পেয়েছিলেন। বিষয়টি সিবিআইকে জানানো হয়েছিল। তাঁরা বিষয়টি জেনে মৌখিক ভাবে ঘরটি সিল করার নির্দেশ দেয়। এদিকে সম্প্রতি সিএফএসএল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগ ওঠে, আটতলার সেই ঘরে কেউ ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এতদিনেই সেই ঘর পরীক্ষা করায়নি সিবিআই। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ৪ তলায় নার্সিং স্টেশনের পিছনে থাকা লিফটে সেই অপারেশন থিয়েটারে যাওয়া যায়।


    এদিকে কলকাতা পুলিশ ৯ অগস্ট মৃতদেহের পাশ থেকে একটি খাম পেয়েছিল যাতে চুল ছিল। সেটি সেখানে কী করছিল? তা নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এদিকে কালো ও নীল রঙের একটি ইয়ারফোন মিলেছিল তরুণীর ম্যাট্রেসের নীচে। আর তরুণী চিকিৎসকের দেহের তলায় ছিল একটি কাচ ভাঙা চশমা। যেখানে ঘরে ধস্তাধস্তি হয়নি, সেখানে কীভাবে তরুণীর পিঠের নীচে চশমা বা ম্যাট্রেসের নীচে ইয়ারফোন যেতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন এখনও থেকে গিয়েছে।


    এই নিয়ে আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর বাবার দাবি, সিবিআই ধরে নিয়েছে যে সঞ্জয় রায়ই একমাত্র দোষী। তাই একাধিক অসঙ্গতি থাকলেও তা নিয়ে তদন্ত করছেন না তদন্তকারীরা। তাঁর কথায়, 'সিবিআই আগে বলেছিল, আটতলার ঘর বন্ধ করে রাখুন। এখন বলছে খুলে দেওয়া যেতে পারে। এমন আচরণের কারণ কী? কেন সন্দেহজনক ঘরটি তদন্তের বাইরে থাকবে?'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)