রয়েছে একতলা সুসজ্জিত পাকা বাড়ি। ছেলে সোনার গয়না তৈরির কারিগর। কিন্তু তা সত্ত্বেও আবাস প্রকল্পের বাড়ির টাকা পেতে আবেদন করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১নং ব্লকের ডিহিচেতুয়ার বাসিন্দা বামাপদ চাকি। তাঁর অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। কী ভাবে সম্পন্ন পরিবারের সদস্য হয়েও আবাস যোজনার টাকা ঢুকল তাঁর অ্যাকাউন্টে, তা নিয়ে উঠেছিল বিস্তর প্রশ্ন। স্থানীয়দের দাবি, বামাপদর স্ত্রী পেশায় আশাকর্মী। তিনি সমীক্ষক দলের সদস্য ছিলেন। সমীক্ষার সময় আবাসের টাকা পেতে তিনি বাড়ির গোয়ালঘরকে কর্তার ঠিকানা হিসেবে দেখিয়েছিলেন। এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দাসপুর ১নং ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস।
জানা গিয়েছে, বামাপদ চাকির অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি আবাসের প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। বাড়ি তৈরির কাজও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের কথায়, বামাপদবাবুর নিজের একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। তাঁর একমাত্র ছেলে সোনা গয়না তৈরি করেন। ভিন রাজ্যে থাকেন। শুধু তাই নয়, বামাপদবাবুর স্ত্রী রিঙ্কু চাকি একজন আশাকর্মী। দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আবাস তালিকার সমীক্ষার জন্য যে টিম তৈরি করা হয়েছিল তার অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
অভিযোগ, নিজের পাকা বাড়ি থাকার কথা চেপে গিয়ে গোয়ালঘরকে বসতবাড়ি দেখিয়ে আবাস তালিকায় স্বামীর নাম তুলতে সাহায্য করেন রিঙ্কুদেবী। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ডিহিচেতুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। বামাপদ অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো নয়। যে পাকা বাড়ির কথা বলা হচ্ছে সেখানে তাঁর স্ত্রী থাকেন। ওই বাড়ির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই।
যদিও এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই দাসপুর ১নং ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’