শুক্রবারের পর শনিবারও আরও এক বাঙ্কারের হদিশ মিলল নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম মাজদিয়ায়। কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত এই এলাকা। শুক্রবার সেখানেই মাটির তলায় তিন তিনটি বাঙ্কারের খোঁজ মেলে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। মাটি খুঁড়ে সেখানে লোহার ট্রাঙ্ক বসানো হয়েছিল। রয়েছে লোহার সেই বাঙ্কার থেকে উপরে ওঠার সিঁড়িও। ভিতরে সাজানো ছিল ফেনসিডিলের শিশি। বাঙ্কারগুলি কোনওটা ১০ ফুট, কোনওটা ১২ ফুট। অর্থাৎ, বিশালাকার কন্টেনারের সমান এক একটি বাঙ্কার। শনিবারও তেমন আরও একটি বাঙ্কারের খোঁজ মিলল সেখানেই।
যেখান থেকে বাঙ্কারগুলির খোঁজ মিলেছে, সেটি একটি বাগান এলাকা। বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার খবর পেয়ে টুঙ্গির বর্ডার আউট পোস্টের সদস্যরা মাজদিয়ার নাঘাটায় তল্লাশি অভিযান চালায়। বিএসএফ অফিসার, জওয়ান এবং স্থানীয় পুলিশ এই অভিযানে অংশ নেয়। তল্লাশির সময় ৩টি ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ ট্যাঙ্ক পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি কুঁড়ে ঘরের নীচে ছিল। তার ভিতর বস্তার পর বস্তা ফেনসিডিল সাজানো ছিল।
এ কাজ কোনও ভাবেই এক দিনের নয়। প্রশ্ন উঠছে, সীমান্তবর্তী এই এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে এ কাজ হল? ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, দেড় কিলোমিটারের মধ্যে এই চারটি বাঙ্কারের খোঁজ মেলে।
প্রশ্ন উঠছে, কারা এগুলি তৈরি করেছে, কবে তৈরি হয়েছে এগুলি? এই বাঙ্কার তৈরির উদ্দেশ্যই বা কী? নিছক চোরা চালান, নাকি অনুপ্রবেশ বা নাশকতার ছক? শনিবার সকাল থেকে এই এলাকায় লোকজনের ভিড়। বাঙ্কারের খোঁজ শুনেই তা চাক্ষুষ করতে আসছেন লোকজন।
যেখানে এই বাঙ্কারগুলি মিলেছে, তার সামনে বিস্তীর্ণ বাগান, জমি। সেখানে কাদের যাতায়াত, তা নিয়ে মুখ খুলছেন না এলাকার লোকজন। যাঁরা মুখ খুলছেন, তাঁরা বলছেন, এ সব কি আর কেউ জানিয়ে করবে? এ দিন ক্রেন এনে মাটির ভিতর থেকে লোহার ট্রাঙ্ক তোলার কাজ চলে। এই বাঙ্কার উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে সীমান্তবর্তী নদিয়ায়।