'এখন নয়, ৯০ সাল থেকেই বেআইনি বাড়ি হচ্ছে,' ফ্ল্যাট হেলে পড়ার ঘটনায় দাবি ফিরহাদের
আজ তক | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
কলকাতা পৌরসভা এলাকায় একের পর এক বহুতল হেলে পড়ছে। দেখা দিয়েছে প্রাণসংশয়। অনেকেই জীবনের পুঁজি উজাড় করে দিয়েছেন একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার জন্য। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'কলকাতায় বাড়ি হেলে পড়েছে বহু বছর। তাতে আমরাও হেলে পড়েছি। ক্রিস্টোফার রোডে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে গিয়েছি। তারা সোমবার রিপোর্ট দেবে। এখন কোথাও বেআইনি বাড়ি হচ্ছে না। আগে হয়েছে... হয় তো টাকাও খেয়েছে। কিন্তু এখন রোস্টার মেইনটেইন করা হচ্ছে। কারণ এখন কিছু হলে তাদের চাকরি চলে যাবে। আমরা নোটিশ করেছি। ৬/৮/২০২৪ সালে করা হয়েছিল।'
মেয়র বলেন, 'কলকাতায় এক লক্ষ বাড়ি রয়েছে। সব জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সম্ভব নয়। এই প্রথম নয়, কমল বোস মেয়র থাকার সময় ২৫ জন মারা গিয়েছেন। প্রশান্ত শূরের সময় ১৬ জন মারা গিয়েছেন। তার পরেও বাড়ি ভেঙেছে, কিন্তু কেউ মারা যায়নি। তার মানে বেআইনি বাড়ি ৯০ সাল থেকে হচ্ছে। এটা নয় যে এখন হচ্ছে। গার্ডেনরিচের পর আমরা অ্যাপের মাধ্যমে এবং জিও ট্যাগিং করে দিচ্ছি। যেখানে কলকাতায় কোথায় বাড়ি আছে কোথায় পুকুর আছে সেটা জানা যাবে। বাঘাযতীনের জমিতে জলাশয় ছিল না। মেয়র বলেন, সব মেয়রের সময় বাড়ি বেআইনি ও হেলে বাড়ি ছিল। এটা একটা পরম্পরাগত ভাবে চলছে।
মেয়র বলেন, 'এখন বিএলআরও দফতর আমরা কলকাতা পৌর সংস্থায় নিয়ে এসেছি। Better late then ever.' মেয়র বলেন, সাধারণ মানুষ কে বলবো অনুমতি আছে কি না বিল্ডিং প্ল্যানিং আছে কি না, সেটা দেখে বাড়ি কিনবেন। চুরির মাল যে কিনবে তার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। নোটারি করে বাড়ি কিনবে না। যদি প্ল্যান না পান, আমার সঙ্গে দেখা করে জানাবেন। নিজের গচ্ছিত টাকা কষ্টের টাকা নষ্ট হয় সেটা আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। এখন বেআইনি বাড়ি হবে না। এখন রোস্টার ডিউটি হয়ে গিয়েছে। সমস্ত জলাশয় এখন তালিকা ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। একটা বাড়ির যদি প্ল্যান জমা দেন তাহলে স্ট্রাকচারাল রিপোর্ট এবং সয়েল টেস্টিং করে দিতে হবে। বিল্ডিং আমরা দেখি না। এলবিএস বা ইঞ্জিনিয়ার যে রিপোর্ট দেয় তার ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। শেক্সপিয়ারের সরণি কাজ চলছে। ৩০টি বাড়ি হেলে রয়েছে। আমরা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি যে আপনারা সেটা খুঁটিয়ে দেখে নেবেন।
মালদহে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর বিষয়ে মেয়র বলেন, এটা উচিত নয়। লাইসেন্সড বন্দুক সিজ করে নেওয়া উচিত। লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া উচিত। আরজি কর নিয়ে তিনি বলেন, কোর্টের ব্যাপারে আমি কী বলব। আমাদের দেখে ভয় ভয়ে গিয়েছে সিবিআই। যদি বিজেপি হারিয়ে যায়। সেই জন্যই কোর্টে গিয়েছে সিবিআই। ফিরহাদ বলেন, 'সবাইকে সংযত হয়ে কথা বলা উচিত। আমি দলের বাইরে কিছু বলব না। I am a disiplined soldier of Party।' একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, 'বিরোধীদের বলুন না দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে হেলে বাড়ি সোজা করে দিতে।