• ২৬ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানায় পরিবার
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরগরম জলপাইগুড়ি।  চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সোজা থানায় প্রসূতির পরিবার। তবে অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে সকাল থেকেই চলছে টানাপোড়েন। যা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রসূতির পরিবার।


    মৃতার পরিবারের দাবি, আজ সকালে তাঁরা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে আসেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও সেখানে তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর উপায়ন্তর না পেয়ে তাঁরা পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেখানেও  কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিসকর্মীরা এসে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে দাবি। তবে এসব সত্ত্বেও একপ্রকার জোর করেই পুলিস সুপারের কাছে নিজেদের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।


    উল্লেখ্য ঘটনার সূত্রপাত গত ২৯ ডিসেম্বর। ওইদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি হন শান্তনা রায় নামে ২৩ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বা। ওই দিনই সিজারে পুত্রসন্তান প্রসব করেন তিনি। প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তান প্রসবের পরও সুস্থ ছিলেন শান্তনা। পরদিন থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।


    এরপর গত ৩ জানুয়ারি ওই প্রসূতিকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সেখানে ২৬ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর গতকাল দুপুরে মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে গত ২০ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন প্রসূতির স্বামী উত্তম মাতব্বর। এবার স্ত্রীর মৃত্যুর হওয়ায় সরাসরি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি।


    পরিবারের দাবি মেনে আজ দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ওই প্রসূতির দেহের ময়নাতদন্ত হবে। এদিকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে প্রসূতিকে যে সমস্ত ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তার স্যাম্পল ড্রাগ কন্ট্রোলে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে অপারেশন থিয়েটার ও হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।
  • Link to this news (বর্তমান)