অনুপ কুমার দাস: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নদীয়ার মাজদিয়া সীমান্তে বাঙ্কারের হদিশ। নির্মীয়মাণ আরও একটি বাঙ্কারের হদিশ মিলল আজ। দুই দিনে মোট চারটি বাঙ্কারের হদিশ। গতকাল সারারাত বাঙ্কার পাহাড়া বিএসএফের। আজ সকাল থেকেই খোঁড়া হচ্ছে এলাকার মাটি। আরও বাঙ্কার আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বিএসএফের বিশাল অভিযানে চোরাচালানের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছেখ। ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনটি বাঙ্কার থেকে বাষট্টি হাজার দুশোবোতল ফেনসিডিলের একটি বিশাল চালান উদ্ধার করা হয়েছে। আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
এমন ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমস্ত এলাকায়। প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীরা লুকিয়ে রেখেছিল। গতকাল সারারাত সেই বাঙ্কারের পাহাড়া দিল বিএসএফ। এই বাঙ্কারের মধ্যে থেকে বস্তায় বস্তায় নিষিদ্ধ কাপসিরাপ পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চলে এই বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। স্থানীয়দের মতে, কে বা কারা এই বাঙ্কার বানালো সেই বিষয়ে তারাও কিছু একটা জানেন না। এমনকি জমির মালিক যিনি রয়েছেন তাঁকে সনাক্ত করে ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
যদিও এই বাঙ্কারগুলি সবকটিই লোহার বাঙ্কার। প্রায় ১৫ ফুট লম্বা এবং ২০ ফুট চওড়া এই বাঙ্কার। এতবড় বাঙ্কার কীভাবে এল সেই নিয়েই ধোঁয়াশা। কিছুটা দূরেই বাংলাদেশ। তাই এই বাঙ্কার কে তৈরি করল কারাই বা জড়িত সেই বিষয়ে বড়সড় ধোঁয়াশা। যেখান থেকে বাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে তার পাশেই চাষের জমি। কীভাবে নজর এড়িয়ে বাঙ্কার তৈরি হয়েছে। সেই প্রশ্ন ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাণহানির হওয়ার আশঙ্কা তাই মুখ খুলতে নারাজ সকলেই। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬২,২০০ বোতল ফেনসিডিল যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা রয়েছে সমস্ত এলাকা।