বেশি সংখ্যক বাস নামাতে ৮৮৫ চালক-কন্ডাক্টর নিয়োগ করবে রাজ্য
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
সরকারি বাসের সংখ্যা এমনিতেই কম, তার ওপর পর্যাপ্ত চালক এবং কন্ডাক্টর না থাকায় ঠিকমতো বাস চলাচল করছে না। যারফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সরকারি বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। শহরের রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস নামাতে সম্প্রতি চালক এবং কন্ডাক্টর চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য নবান্নে প্রস্তাব দিয়েছিল দফতর। সেই মতো ৮৭৫ জন চালক-কন্টাক্টারকে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগে অনুমোদন দিতে চলেছে নবান্ন।
জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চালক-কন্ডাক্টর নিয়োগের বিষয়টিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। যদিও সেক্ষেত্রে শহরের বাসে চালক কন্ডাক্টর নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বাসে চালক কন্ডাক্টর নিয়োগে এখনই অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী পরিবহণ দফতরকে নীরবে থাকা দফতর বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তবে দতরের আধিকারিকদের দাবি, পরিকাঠামো এবং কর্মীদের অভাবের ফলে সমস্যা হচ্ছে। তারা চালক কন্ডাক্টর নিয়োগের ওপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও কিছু কিছু রুটে বাসের ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে পরিষেবা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তারপরও পরিষেবার খামতি থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরেই পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী রাস্তায় নেমে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। তবে বাসের ট্রিপ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হলেও তেলের দাম নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে দুই বঙ্গে যে বাস চলে পরিষেবা ঠিকমতো রাখতে গেলে তার চেয়ে আরও কয়েকশো বাসের প্রয়োজন। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ৬০০টি মতো বাস চলাচল করে। তবে আরও ২০০টি বাসের প্রয়োজন। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের হাতে রয়েছে ৮৮০ জন চালক এবং ৯৫৬ জন কন্ডাক্টর। প্রযোজন ১,৩৩০ জন চালকের। তবে আরও ২০০ জন চালক, কন্ডাক্টর পাওয়া গেলে ৭০০ বাস নামানো যেতে পারে।