• লাইসেন্স-এর নথি জমার নির্দেশ, মালদায় গুলি ছোড়ার ঘটনায় এখনও গ্রেপ্তার শূন্য
    এই সময় | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • বন্দুকগুলি কার ছিল? কার নামে লাইসেন্স রয়েছে? যাঁর নামে লাইসেন্স, তিনিই কি ওই বন্দুক ব্যবহার করেছিলেন? ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেও এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। মালদার মানিকচকের নুরপুর এলাকায় ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে গুলি চালনার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। লাইসেন্স-এর নথি জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘ছবিতে যাঁদের গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বন্দুকের লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত নথি না দেখাতে পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ইতিমধ্যে ছবিতে যাঁদের গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। 

    মালদার নুরপুর এলাকায় স্থানীয় একটি ক্লাবের তরফে ২৩ জানুয়ারি একটি ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের দিনেই কয়েকজনকে শূন্যে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠেই এর আয়োজন করা হয়েছিল। গুলি ছোড়ার ভিডিয়ো (যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। 

    ইতিমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মনসুর আহমেদ খান, মহম্মদ আমিনুর রহমান, আতকামা খান চৌধুরী এবং মহম্মদ ভকতাবক খান নামে চার ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তে দেখা গিয়েছে। এই চারজনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোনও নথি জমা দিতে পারেননি বলে খবর। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই ব্যক্তিদের বন্দুকের লাইসেন্স ছিল কি না, অন্য কারও থেকে বন্দুক নিয়ে তাঁরা গুলি ছুড়েছিলেন কি না এরকম নানা বিষয়ে সন্দেহ হতে শুরু করেছে।

  • Link to this news (এই সময়)