• অধিকারী গড়ে উড়ল সবুজ আবির, সমবায় ভোটে প্রার্থীই নেই গেরুয়ার
    এই সময় | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক। তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী এখন এই এলাকার সাংসদ। তার আগে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এই এলাকার সাংসদ ছিলেন। অধিকারী পরিবারের গড় বলা হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিকে। সেখানেই সমবায় নির্বাচনে কোনও প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি। কার্যত খালি মাঠে জয়ের মুখ দেখতে চলেছেন তৃণমূল সর্মথিত প্রার্থীরা।

    শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর- ২ ব্লকের আংগারবেড়িয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেখানেই দেখা গেল বিরোধী দল সমর্থিত কোনও ব্যক্তির তরফ থেকে মনোনয়ন জমা পড়েনি। এর ফলে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেন দাবি শাসক দলের নেতাদের একাংশের। ওই সমবায় সমিতির মোট আসন ৯। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। মোট ১৪ জন মনোনয়ন তোলেন শুক্রবার। যাঁদের মধ্যে ৯ জন তৃণমূল সমর্থিত এবং বাকি পাঁচজন বিজেপি সমর্থিত। শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেলে দেখা যায় শুধুমাত্র তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন চলে যাওযায়, ওই ৯ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে চলেছেন বলে তাঁদের ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন। তবে সমবায় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখার পরে জয়লাভের বিষয় চূড়ান্ত করে জানানো হবে।

    এই সমবায়টি মুগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। যা বর্তমানে বিজেপির দখলে। বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা একচেটিয়া জয় পেতে চলায়, হাসি চওড়া হয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের মুখে। এই সমবায় আগেও তৃণমূল সমর্থিতদের দখলে ছিল। পরিচালকমণ্ডলীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ মার্চ নির্বাচন ঘোষণা হয়। শনিবার বিকেলে সবুজ আবির ও মিষ্টি মুখে মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ও প্রার্থীরা। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন, ‘মানুষ বিজেপির উন্নয়নে সন্তুষ্ট নয়। তাই বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। এই সমবায় আগেও তৃণমূল সমর্থিতদের দখলে ছিল। ভোটাররা তৃণমূলের কাজে সন্তুষ্ট।’ পাল্টা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি অরূপকুমার দাসের দাবি, ‘ক্ষমতায় থাকার ফলে পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল সমবায়গুলি দখল নিচ্ছে। বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে জয় প্রমাণ করে সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’

  • Link to this news (এই সময়)