• কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জলঙ্গি ও রানিনগরে গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি
    বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ডোমকল মহকুমার দু’টি থানা এলাকায় গ্রেপ্তার হল দুই বাংলাদেশি। শুক্রবার রাতে রানিনগরের সীতানগরে অভিযান চালিয়ে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র সহ এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম মেহের আলি। তার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকায়। অপরদিকে শনিবার সকালেই জলঙ্গির সরকারপাড়া থেকে এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে পাকড়াও করেছে বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের জলঙ্গি বিওপি ক্যাম্পের জওয়ানরা। ধৃতের নাম সফিকুল মণ্ডল। তার বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়। ধৃতকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য জলঙ্গি থানার হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিনগরে গ্রেপ্তার হওয়া ওই বাংলাদেশি প্রায় বছর সাতেক আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসেছিল। এদেশে ঢুকে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে দক্ষিণ ভারতে শ্রমিকের কাজ করত সে। বছর কয়েক আগে সেখান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় রানিনগরের সীতানগরের এক যুবতীর সঙ্গে। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত বছর কয়েক আগে তাদের বিয়েও হয়। এই সময়কালে ভুয়ো আধার কার্ড ও ভুয়ো রেশন কার্ডও তৈরি করে ফেলেছিল সে। এভাবেই রীতিমতো ঘর সংসার বেঁধে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস শুরু করেছিল। তবে ধৃত মেহের বছরের বেশিরভাগ সময় কেরলেই থাকত। মাঝেমধ্যেই কেরল থেকে সীতানগরে এসে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যেত অভিযুক্ত। দিন কয়েক আগেও নিজের শ্বশুরবাড়ি সীতানগরে এসেছিল অভিযুক্ত। সোর্স ইনপুটে সেই খবর পৌঁছয় রানিনগর থানার পুলিসের কাছে। এরপরই শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


    পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। শনিবার ধৃতকে সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে লালবাগ আদালতে পাঠানো হয়েছে।


    অপরদিকে, শনিবার সকালে জলঙ্গির সরকারপাড়ার দিকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল তিন বাংলাদেশি পাচারকারী। ছক ছিল অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে মাদক নিয়ে পুনরায় ওপারে ফিরে যাওয়া। সেই মোতাবেক তারা জলঙ্গির সরকারপাড়ার সীমান্ত দিয়ে এদেশে কিছুটা প্রবেশও করে ফেলেছিল। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে সেখানে টহলরত জওয়ানদের। জওয়ানদের দেখেই ধৃতরা পালানোর চেষ্টা করে। বিএসএফ তাদের পেছনে ধাওয়া করে। দু’জন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে সফিকুল। তাকে পাকড়াও করে জলঙ্গি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধৃত নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে জানায়, মাদক পাচারের জন্যই তারা এসেছিল।


    বিএসএফের এক অধিকারিক বলেন, কুয়াশার সুযোগ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ওপারের পাচারকারীরা এপারে আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএসএফের কড়া নজরদারিতে প্রত্যেকবারই ভেস্তে যাচ্ছে তাদের পরিকল্পনা। এবারও তাই হয়েছে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফ বদ্ধপরিকর।
  • Link to this news (বর্তমান)