• পানীয় জলের অপচয় রুখতে এবার  সরবরাহের সময় বেঁধে দিচ্ছে পুরসভা
    বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পানীয় জল অপচয় করতে বারণ করছেন, তখন মেদিনীপুর শহরে পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ট্যাপকলের মুখ না থাকায় জল পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় পাইপ ফেটে নর্দমা দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে জল বয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরসভা কলের মুখ লাগিয়ে দিলে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে তা খুলে নিচ্ছে। অনেক এলাকায় দ্রুত জল সংগ্রহ করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারাই কলের মুখ খুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ফলে দেখা দিচ্ছে সমস্যা। যখন জল নেওয়ার কেউ থাকছে না, তখন নর্দমা দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে। 


    মেদিনীপুর শহরে যেমন কাঁসাই নদী জল প্রকল্প আছে। তেমনই বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে গভীর নলকূপ বসিয়ে মাটির নীচ থেকে জল উত্তোলন করা হয়। সেই জল সরাসরি পাইপ লাইনে করে এলাকায় রাস্তার ধারের ট্যাপকলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এখন আবার আম্রুত প্রকল্পের কাজ চলছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বিভিন্ন ওয়ার্ডে এরকম তিন শতাধিক গভীর নলকূপ আছে। সেই সব এলাকায় এক সময় অনেক্ষণ ধরে জল সরবরাহ করা হতো। কিন্তু অপচয় রুখতে পুরসভা সেখানে জল সরবরাহের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, এখন মেদিনীপুর শহরে জলের অভাব নেই। জলের অপচয় হচ্ছে, এটা ঠিক। তা আটকাতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসলে বাসিন্দাদের ধৈর্য্য কম। তাঁরা দ্রুত জল সংগ্রহ করতে চান। তাই স্থানীয়রাই কলের মুখ খুলে ফেলছেন। আবার অনেক জায়গায় কেউ কেউ কলের মুখ খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এই কারণেই জল অপচয় হচ্ছে। পাইপ ফেটে জল নষ্ট হচ্ছে, এই অভিযোগও তিনি মেনে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান বলেন, যেখানে পাইপ ফেটে জল নষ্ট হওয়ার খবর আসছে, সেখানে দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 


    চেয়ারম্যান বলেন, এখন সময় বেঁধে দিয়ে অনেক এলাকাতেই তিনবার জল সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও যদি দেখা যায়, জল অপচয় হয়েই চলেছে তখন সময় আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। যেসব এলাকা থেকে জল অপচয়ের খবর আসছে, সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বাসিন্দারা অবশ্য বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা কলের মুখ খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার অনেক এলাকায় ভেঙেও দেওয়া হচ্ছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)