স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ডাহা ফেল, বিষ্ণুপুর শহরে ২টি রিজার্ভার ভাঙার নির্দেশ
বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ডাহা ফেল! বিষ্ণুপুর শহরে পুরসভার পানীয় জলের দু’টি রিজার্ভার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০ বছরের পুরনো দু’টি রিজার্ভার দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও রোজ লক্ষ লক্ষ লিটার জল তাতে ভরা হচ্ছে। যে কোনও সময় ভেঙে বড়সড় বিপদ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সেই জন্য পুরসভা সংলগ্ন এবং কুমারী টকির কাছে অবস্থিত দু’টি রিজার্ভারকে বিশেষজ্ঞ দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তাতে ডাহা ফেল করে। অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরকর্তৃপক্ষও সেই মতো তোড়জোড় শুরু করেছে।
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে শহরের দু’টি পানীয় জলের রিজার্ভার ভেঙে ফেলা হবে। তারজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তা সম্পূর্ণ হলেই ভাঙার কাজ শুরু হবে। তবে শহরবাসীকে পানীয় জলের সমস্যায় যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য বিকল্প দু’টি রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। তখন তা চালু করা হবে।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৪ সালে বিষ্ণুপুর শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুরসভা সংলগ্ন এবং কুমারী টকির সামনে দু’টি রিজার্ভার তৈরি করা হয়। কয়েকবছর আগে সারেঙ্গায় রিজার্ভার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার ঘটনার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে সমস্ত রির্জাভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেন। সেই মতো বিষ্ণুপুরের দু’টি রিজার্ভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তাতে পরীক্ষকরা দু’টি রিজার্ভার বিপজ্জনক বলে জানান। তবে ওই সময় বিকল্প রিজার্ভার তৈরি না হওয়ায় আজও তাতে রোজ পাঁচ লক্ষ লিটারেরও বেশি পানীয় জল ভরা হচ্ছে। তা থেকে শহরে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে পুর ও নগরান্নোয়ন দপ্তরের উদ্যোগে খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞরা আরও একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তাঁদের কাছেও ডাহা ফেল করে। এরপরেই দপ্তর নড়েচড়ে বসে। সম্প্রতি তা ভাঙার নির্দেশ আসে। সেই মতো টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।