সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে চূড়ান্ত তালিকায় নাম দেখে হাসি ফুটেছিল রেশম চাষির। মোবাইলে কনফার্মেশন মেসেজ আসার পর অ্যাকাউন্ট চেক করতেই হাসি ম্লান হয়ে গিয়েছে তাঁর। অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইলাম গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সাজিদ আলির চূড়ান্ত তালিকায় নাম ছিল। সমীক্ষা শেষে তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে। যাতে নিশ্চিত করা হয় সাজিদ বাড়ি পাবেন। কিন্তু টাকা একই নামের অন্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে দাবি করলেন তিনি।
অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরেও হয়নি সুরাহা। উপভোক্তা সাজিদ বলেন, মোবাইলে মেসেজ আসতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মাজেনুর বিবির স্বামী বাবুল আলি এক যুবককে নিয়ে বাড়িতে হাজির হন। বিভিন্ন বাহানায় একাধিকবার মোবাইল নিয়ে যান। এরপর জানতে পারি আমার কাছে আসা ওটিপি দিয়ে বাংলার বাড়ির টাকা একই নামের অন্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়েছেন তিনি। বাবুল আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা কাটমানিও নিয়েছেন।
চাঁচল মহকুমা শাসক ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এর বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সাজিদ। তাঁর দাবি, ব্লক থেকে জাননো হয়েছে তাঁর নামের সঙ্গে অন্যজনের অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করছেন সাজিদ। বুথের কারও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। তাঁর নাম তালিকায় রয়েছে। সরকার টাকা ছাড়লেই তিনি পাবেন।