সংবাদদাতা, কালিয়াচক: কালিয়াচকের বিভিন্ন জায়গায় দিন দিন বাড়ছে চুরির ঘটনা। যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কালিয়াচকে তিনটি ব্লকে তিনটি থানা এলাকায় প্রায় বাড়িতে চুরির ঘটনার অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি মন্দির বা স্কুলেও চুরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিস তদন্তে নেমে কাউকে গ্রেপ্তার করতেই দেখা যাচ্ছে সে মাদকাসক্ত। গত কয়েকদিনে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার চারটি জায়গায় চুরি হয়। সবক্ষেত্রেই পুলিস সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে সন্দেহভাজনকে আটক করে। তাদের অধিকাংশই তরুণ এবং যুবক। মূলত মাদক সেবনের টাকা জোগাড়ের জন্যই চুরি করছে তারা।
কয়েকদিন আগে বাসে চুরি করতে গিয়ে যাত্রীদের কাছে ধরা পরে খাসচাদপুর এলাকার যুবক ইশা খান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ব্রাউন সুগারের নেশায় আসক্ত হয়ে যায় সে। একটি দোকানে কাজ করলেও নেশার আসক্তি বাড়ার পর তাকে কাজে আসতে মানা করে দেন মালিক। এদিক ওদিক করে কোনওক্রমে কাজ জুটিয়ে টাকা উপার্জন করে মাদকের টাকা জোগার করছিল সে। সম্প্রতি ব্রাউন সুগারের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে তার সমস্যা বেড়ে যায়। শেষপর্যন্ত বাসে চুরি করা শুরু করে সে। এছাড়া মোথাবাড়ির একটি জুনিয়র বেসিক স্কুলেও ল্যাপটপ প্রিন্টারসহ বেশকিছু সামগ্রী চুরি যায়। সেই ঘটনায় মোথাবাড়ির পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে জানা যায়, ধৃতরা মাদকের টাকা জোগার করতে স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দু’দিন আগে কালিয়াচক থানার যদুপুরে বাড়ির মালিক ফরিদ শেখরা ছিলেন না। তাঁরা দেখেন দু’টি সাইকেল সহ বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়েছে। ফরিদের দাবি, মাদক সেবনকারীরা তাঁর বাড়িতে চুরি করেছে। সাধারণ চোর হলে সাইকেল নিয়ে গেলেও বিদ্যুতের মিটারটি নিত না।
কালিয়াচকের এসডিপিও ফয়জল রজা জানিয়েছেন, পুলিস সক্রিয় রয়েছে। এলাকায় অপরাধ অনেক কমে গিয়েছে।