• কর্মসাথী প্রকল্পের প্রচার করুন, শিবিরে ঘিয়ে নির্দেশ বিধায়কের
    বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: মালদহে প্রায়ই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ভিনরাজ্যে একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে অথৈ জলে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অনেক শ্রমিক রাজ্য সরকারের কর্মসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত না থাকায়  সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পরিবার। এই প্রকল্পের প্রচারের অভাবেই অনেক শ্রমিক আবেদনও করছেন না বলে দাবি। মানুষ যাতে নিজের এলাকাতেই রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা পান, তাই ফের দুয়ারে সরকার শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


    শনিবার চাঁচল-২ ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির বসে। সেখানে সাহুরগাছি বিদ্যানন্দপুর এমএনএইচ হাইস্কুলে শিবির পরিদর্শনে যান মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু ও কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। তবে তাঁর নজরে পড়ে কর্মসাথী প্রকল্পের স্টল শুনসান। বিধায়ক আধিকারিকদের বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ ফিরছে মাঝেমধ্যে। আমরা পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে জানতে পারি কর্মসাথী প্রকল্পের আওতায় ছিলেন না সেই শ্রমিক। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। শ্রমিকেরা যাতে এই প্রকল্পে নথিভুক্তি  করেন, আপনারা বিষয়টি দেখুন। যদিও শ্রমদপ্তরের দাবি, দুয়ারে সরকারের পাশাপাশি সারা বছর এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও কর্মীরা কাজ করে থাকেন।


    দুলিয়াবাড়ির আজমল হোসেন হরিয়ানায় পোশাক সেলাইয়ের কাজে রয়েছেন। তিনি বলেন, বাড়িতে থাকাকালীন দুয়ারে সরকার শিবির বসে না। এলাকায় কোন কর্মী কাজ করেন, সেটাও জানি না। সেজন্য কর্মসাথীতে এখনও নাম লেখানো হয়নি।


    প্রচারের অভাবের অভিযোগ প্রসঙ্গে চাঁচল-২ ব্লক শ্রম দপ্তরের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ সামিম পারভেজ বলেন, চাঁচল-২ ব্লক এলাকায় ১৯ হাজার ৯০০ জন শ্রমিক কর্মসাথী প্রকল্পে নথিভুক্ত। এদিন শিবিরে ১৯ জনেরও বেশি জন আবেদন করেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)