• টক টু মেয়রের শততম পর্বে পদার্পণ, সাফল্য তুলে ধরলেন গৌতম দেব
    বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির বাসিন্দা জ্যোতি সাহা। কিন্তু এখন হায়দরাবাদে থাকেন। নিজের শহরের সঙ্গে তাঁর টান বিচ্ছিন্ন হয়নি। তাই নিয়ম করে প্রত্যেক শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠান দেখেন তিনি। শনিবার এই অনুষ্ঠানের শততম পর্বের জন্য মেয়র গৌতম দেবকে হায়দরাবাদ থেকে অভিনন্দন জানান শিলিগুড়ির এই মহিলা নাগরিক।


     শহরের মানুষের নানান সমস্যার কথা শুনে তার সমাধানের চেষ্টার উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন মেয়র। অনেকের পক্ষে সরাসরি পুরসভায় এসে বা মেয়রের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বাড়িতে বসেই সকলে যাতে মেয়রকে তাদের অভাব-অভিযোগ সমস্যা কথা ও প্রস্তাব জানাতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানান মেয়র। দেখতে দেখতে সেই অনুষ্ঠানে শনিবার শততম পর্বে পদার্পণ করে। এই উপলক্ষ্যে ঘরের বাইরে এসে পুরসভা চত্বরে খোলামাঞ্চে এদিনে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের এখানেই সাফল্য বলে জানান মেয়র গৌতম দেব। 


    মেয়র বলেন, শুধু শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার বাসিন্দারাই নন। ভিনরাজ্য জেলা এবং শিলিগুড়ির পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও বহু মানুষ ফোন করে তাদের সমস্যার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে মানুষের মাঝে থেকে মানুষের কাজ করার জন্যই এই অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। শততম পর্ব পর্যন্ত মোট ২২৩৮টি ফোন পেয়েছি। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ফোন এদিন ৪৫ টি এসেছিল। ছেলে-বুড়ো সকলেই সরাসরি মেয়রের কাছে তাদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। পারবারিক সমস্যার সমাধানেও অনেক নাগরিক মেয়রকে ভরসা করে ফোন করছেন।  এটা এই অনুষ্ঠানের বড় প্রাপ্তি  বলে মনে করেন মেয়র।


    এদিনও বহু সমস্যার কথা শুনেছেন। তারমধ্যে বেশিরভাগ সমস্যা বা অভিযোগ এসেছে পানীয় জলের অভাব নিয়ে। কিছু বেহাল রাস্তা নিয়ে  প্রশ্ন এসেছে। আবার অসহায় এক বৃদ্ধা ফোন করেছেন তাঁর বাড়ির অবৈধ দখল নিয়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিদিনের মতো এদিনও মেয়র তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।


    টক টু মেয়রের শততম পর্ব উপলক্ষ্যে এদিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব রেখেছিলেন মেয়র। সেখানে পুরসভার বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার আলোর দিশারীর ছাত্রছাত্রীরা মেয়রের কাছে প্রস্তাব রাখেন, বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও বিনামূল্যে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হোক। কেউ বলে মেয়রকে আদর্শ করে তারা গাছ লাগাচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক জটিলতায় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। মেয়র তাদেরও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গাছ লাগানোর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।  মেয়র বলেন,  ছাত্রছাত্রীদের চার দেওয়ালের বাইরে এনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটানোই আমার লক্ষ্য।
  • Link to this news (বর্তমান)