• স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের চিপ খারাপ হওয়ায় ক্যান্সারের বন্ধ চিকিত্সা
    বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: চিপ খারাপ হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কাজ করছিল না। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বৃদ্ধার ক্যান্সারের চিকিত্সা। হিলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বছর ষাটের সেই সজন্তি বালা দাসের পাশে দাঁড়ালেন বিডিও চিরঞ্জিত সরকার। বৃদ্ধার কথায়, অনেক জায়গায় ঘুরেও সমাধান হয়নি। বিডিও না থাকলে আমি হয়তো বিনা চিকিৎসায় মারা যেতাম।


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে সজন্তির। পরিবারে কেউ না থাকার ফলে ভরসা হয়ে দাঁড়ায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বার্ধক্য ভাতা আর রেশনের চালে কোনওভাবে সংসার চলে। কলকাতার এক  হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। মোট আটটি কেমো দেওয়া হয় তাঁকে। গত ডিসেম্বরে কেমো দিতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সজন্তিকে জানায়, চিপ খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। 


    এরপর জেলা প্রশাসনের দারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত থেকে ব্লক ও জেলা প্রশাসন সহ  রাজনৈতিক নেতাদের কাছে  হন্নে হয়ে ঘুরেও সমস্যা মেটেনি বৃদ্ধার। তিনি ফের বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি বিডিওর নজরে যেতেই তিনি বৃদ্ধাকে চেম্বারে ডেকে নেন। সব শুনে তিনি জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু জেলা প্রশাসন জানায়, কার্ড চালু করা যাবে না। অন্যদিকে বৃদ্ধার পরিবারে কেউ না থাকায় তাঁর নাম অন্য কার্ডে ঢোকাতে সমস্যা হচ্ছিল। অবশেষে বৃদ্ধার বাড়ির পাশের এক আত্মীয়ের কার্ডে তাঁর নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার বৃদ্ধার হাতে সেই কার্ড তুলে দেন বিডিও। পাশাপাশি কলকাতায় বৃদ্ধার যাতায়াতের খরচও তিনি বহন করেন। বিডিও এমন উদ্যোগের জেরে চিকিৎসা চালু হওয়া বাসিন্দারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। 


    বিডিও বলেন, বৃদ্ধার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড খারাপ থাকার কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়েছিল। তাঁর সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)