সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: শনিবার দিনভর দাপাল একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতি। মাথাভাঙা-২ ব্লকের বড়াইবাড়ি, এগারো মাইল, বারো মাইলের লোকালয় সহ মানসাই নদীর চর এলাকায় হাতিটি তাণ্ডব চালায়। মাঝে কিছুটা সময় বনকর্মীদের সঙ্গে ভুট্টাখেতে চলে লুকোচুরি। মাথাভাঙা ও ঘোকসাডাঙা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ছিল এলাকায়। মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার, মাথাভাঙার আইসি হেমন্ত শর্মা, ঘোকসাডাঙার ওসি কাজল দাস সহ পুলিস বাহিনী এলাকায় মোতায়েন ছিল। বক্সা, জলদাপাড়া ও কোচবিহার ডিভিশনের বনকর্তারাও ছিলেন ঘটনাস্থলে। তবে বিকেলে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয় দাঁতালটিকে। পরে ট্রাকে তুলে জলদাপাড়া জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ভুট্টা খেত ও আলু খেতের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণহানির মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।
কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন জলদাপাড়া, বক্সা সহ আমাদের বনকর্মীরা এলাকায় ছিলেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর হাতিটিকে কাবু করা হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে মানসাই নদীর ধার দিয়ে জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে লোকালয়ে হাতিটি চলে এসেছিল। হাতিটিকে পুনরায় জলদাপাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিন সকালে মানসাই নদীর চর সংলগ্ন এলাকায় প্রথমে হাতিটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকযোগে প্রচার চালায় ঘোকসাডাঙা থানার পুলিস। চর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। একসময় মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকর্মীদের। দীর্ঘসময় বড়াইবাড়ি সংলগ্ন মানসাই নদীর চর এলাকার একটি ভুট্টা খেতে লুকিয়ে ছিল হাতিটি। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে হাতিটির অবস্থান জানার পরই বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বার বার বনকর্মীদের দিকে তেড়ে যায় দাঁতালটি। শেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করার পরই বসতি এলাকার দিকে ছুটে যায় হাতিটি। কিছুদূর গিয়ে এগারো মাইল এলাকায় একটি বাড়ির পাশে আলু খেতে দাঁতালটি দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপরই বনকর্মীরা হাতিটিকে বেঁধে ফেলেন। পরে জেসিবি দিয়ে ট্রাকে তোলা হয়।
মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, এদিন সকালে মানসাই নদীর চর এলাকায় হাতি বের হওয়ার খবর পাই আমরা। হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করেছেন বনকর্মীরা। • নিজস্ব চিত্র।