নাটাবাড়িতে তৃণমূলের সভাতে ডাক পেলেন না রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ: ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে নাটাবাড়ি কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। শনিবার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বলরামপুর হাইস্কুলের মাঠে তৃণমূলের বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা হয়। এতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সভায় ডাক পাননি বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা নাটাবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এই কেন্দ্র থেকে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। অথচ তাঁকে বাদ দিয়েই এদিন সভা হয়। সভায় প্রাক্তন সাংসদ তথা এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়ও অনুপস্থিত ছিলেন। এনিয়ে কোচবিহারের রাজনীতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
সাংসদ জগদীশবাবু বলেন, ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দলে দু’একটা গদ্দার ছিল। যারা তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেনি। তাই এই কেন্দ্র থেকে আমরা লিড দিতে পারিনি। তা না হলে ১১০০ ভোটে পিছিয়ে থাকতাম না। বিধানসভা নির্বাচনে দল যাঁকে প্রার্থী করবে আমরা তাঁকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী করব। ১০ বছর ধরে বিজেপি যে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছে তা প্রচার করতে হবে। দুই একটা স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে, কীর্তনে গিয়ে পোস্ট দিলে হবে না। নাম না করে এভাবেই রবি পার্থকে কটাক্ষ করেন সাংসদ জগদীশবাবু।
মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, দল কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে যখন জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন তাঁকে মেনে নিতে হবে। আসুন জেলা সভাপতিকে মেনে নিয়ে তাঁর নেতৃত্বে কাজ করি। এব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, কোচবিহারে দলকে শূন্য থেকে শক্তিশালী করেছি। নাটাবাড়ি কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক ছিলাম। কিন্ত আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন জেলা নেতারা মনে করেননি। ডাকলে অবশ্যই যেতাম। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদয়ন গুহ বলেন, কোচবিহারে তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ডাকা না হলে সেটা খারাপ হয়েছে।