মুম্বই: একজন নয়। সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে আরও কয়েকজন। ঘটনার প্রায় ১০দিন পর একজন জড়িত থাকার দাবি থেকে সরে এল মুম্বই পুলিস। শনিবার তারা জানিয়েছে, ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ ছাড়াও আরও কয়েকজন সন্দেহভাজন ছিল এই ঘটনার নেপথ্যে। গত ১৬ জানুয়ারি রাতে সইফের বান্দ্রার আবাসনে ঢুকে পড়েছিল আততায়ী। তারপর অভিনেতার উপর ছ’বার ছুরির কোপ বসায় সে। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বাণিজ্যনগরীর নিরাপত্তা। পুলিস অবশ্য প্রথমে দাবি করেছিল, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একজনই। চুরির উদ্দেশ্যে বান্দ্রার আবাসনে ঢুকে পড়ে সে। অবশেষে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করল পুলিস। গত ১৯ জানুয়ারি সকালে অভিযুক্ত শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। শুক্রবার মুম্বইয়ের এক আদালতের নির্দেশে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিসি হেফাজত হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিক ৩০ বছর বয়সি শরিফুলের। কোর্টে মুম্বই পুলিস সন্দেহপ্রকাশ করে, এই ঘটনায় শরিফুলের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে। ওইদিন রাতে কী ঘটেছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা পেতে শরিফুলকে ক্রমাগত জেরা করছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, জেরায় সহযোগিতা করছে না অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, ওই ছুরিটি সে কোথা থেকে পেয়েছিল, তা কিছুতেই বলতে চাইছে না অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে সইফ ও তাঁর বাড়ির পরিচারকদের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। শরিফুলের পোশাকে লেগে থাকা রক্তের দাগের সঙ্গে তা মেলে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই সইফের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সংগৃহীত আঙুলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্তের আঙুল মিলছে। যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শরিফুলের বাবা দাবি করেছিলেন, সিসি ক্যামেরার ছবিতে থাকা ব্যক্তি শরিফুল নয়। তারপরই ধন্দে পড়েছিল মুম্বই পুলিস। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফুটেজের সঙ্গে মেলাতে শরিফুলের ফেসিয়াল রিকগনিশন করা হতে পারে।