রবীন্দ্রসদনের আকাশে উড়ছে হ্যারি পটার, ডিম পেড়েছে ডাইনোসর
বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিরাট একটা ডাইনোসর এসেছে রবীন্দ্রসদনে। সে কয়েকটি ডিম পেড়েছে। আর একদিকে ঝাঁটার উপর বসে আকাশে উড়ে যাচ্ছে হ্যারি পটার। এদের মাঝখানে রয়েছে বিশাল বড় আশ্চর্য প্রদীপ। সেখান থেকে মাঝেমধ্যে হাসির আওয়াজ ভেসে আসছে। রবীন্দ্রসদন চত্বরে হচ্ছে এসব কাণ্ডকারখানা। সাংস্কৃতিক পাড়া বদলে গিয়ে আচমকা যেন রূপকথার জগত। এরকম চেহারা বদলের কারণ, ১১তম আন্তর্জাতিক কলকাতা শিশু চলচ্চিত্র উত্সব। বাচ্চাদের চোখের সামনে তাদের প্রিয় চরিত্রগুলো। আর তাদের হাতের সামনে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা সবাই। বড়রাও কম খুশি নন।
নন্দনের মূল প্রেক্ষাগৃহের সামনের অংশটি তৈরি করা হয়েছে প্রাচীন বাড়ির আদলে। দেখে মনে হবে, যেন হ্যারি পটার সিনেমার সেট পাতা হয়েছে। সেখানে ছবি তোলার বেজায় ভিড়। বেলঘরিয়া থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া এসেছিল তৃতীয় শ্রেনির রিয়া পাল। দূর থেকে হ্যারি পটারকে উড়তে দেখে চিৎকার করে বিস্ময় প্রকাশ করল। বাড়ি ফিরতে যতই দেরি হোক, হ্যারি পটারের সামনে তাকে যেতে দিতেই হবে। রবীন্দ্রসদন চত্বরজুড়ে হুড খোলা জিপে চলছে ‘জঙ্গল সাফারি’। সেই জিপের মধ্যে বসে রয়েছে স্পাইডার ম্যান, ‘মানি হাইস্ট’ সিরিজের প্রফেসর। জিপে তুলে নেওয়া হচ্ছে শিশুদের। তারা এক পাক সাফারি করে নিচ্ছে রবীন্দ্রসদন চত্বরে। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ১১তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সব। চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। রবীন্দ্রসদন, নন্দন, শিশির মঞ্চ ছাড়াও রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, রাধা স্টুডিও, রবীন্দ্রতীর্থতে সারা পৃথিবীর একাধিক ছবি দেখানো হচ্ছে। একতারা মুক্তমঞ্চেও হচ্ছে প্রদর্শন। এর পাশাপাশি গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় ‘হাতে কলমে সিনেমা’ নামাঙ্কিত প্রদর্শনী চলছে।
সিনেমা দেখা তো হচ্ছেই একইসঙ্গে চারপাশের এমন একখানা পরিবেশ দেখে আনন্দে আত্মহারা শিশুরা। তবে শুধু কি বাচ্চারা? বারুইপুর থেকে এসেছিলেন কলেজ পড়ুয়া প্রশান্ত সরকার। বলেন, ‘হ্যারি পটার আজও আমার ভালো লাগে। এখানে এসে মনে হচ্ছে, পটার মিউজিয়ামে চলে এসেছি। খুব ভালো উদ্যোগ।’