নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছুটির দিনে স্কুলের ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার হল এক শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম রাজেশ রজক (২৮)। শনিবার সকালে নরেন্দ্রপুর থানার গ্রিন পার্ক এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই শিক্ষক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিস। ওই এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে হিন্দি পড়াতেন রাজেশবাবু। বর্তমানে স্কুলে নির্মাণ কাজ চলছিল। তাঁর বাড়ি স্কুলের কাছে রামচন্দ্রপুর এলাকায়। কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে স্কুলের গেটের একটি চাবি দিয়ে রেখেছিল। কারণ যখন তখন ইমারতি দ্রব্য এলে রাজেশবাবু গিয়ে স্কুল খুলে সেগুলি রাখার ব্যবস্থা করতেন। শুক্রবারও তিনি স্কুলে ক্লাস নিয়েছেন এবং তাঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখা যায়নি বলে জানান বাকি শিক্ষকরা।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ি ফিরছিলেন না রাজেশ। বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি রাত কাটাচ্ছিলেন তিনি। এর আগেও এমন বহুবার বাড়ির বাইরে থেকেছেন। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বিবাদ লেগে থাকতো ওই শিক্ষকের। দু’দিন আগেও বাড়ি না ফেরা নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয় দু’জনের। এদিন সকালে রাজেশকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরছিলেন না। এতে চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। যেহেতু তাঁর কাছে স্কুলের চাবি থাকতো, সেহেতু সেখানেই তিনি রাত কাটিয়েছেন কি না জানতে শনিবার সকালে রাজেশের এক আত্মীয় স্কুলে যান। তখনই জানলা দিয়ে ওই শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। এরপর বাড়ির লোকেদের খবর দেওয়া হয়। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে।
মৃতের বাবা মহেন্দ্র রজক বলেন, আমি সকালে এই খবর পাই। ক’দিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। হয়তো তার জন্য আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এখানে শিক্ষকতা করছেন রাজেশ। কেন এমন করলেন, তা আমাদের কাছেও পরিষ্কার নয়। -নিজস্ব চিত্র