এই সময়: শহর কলকাতায় ২০১৮ সালে টিবি বা যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৮৪০ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্তের সেই সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। সাধারণত অপুষ্টি, ধূমপান বা অন্য নেশা থেকেই টিবি সংক্রমণ হয়। দূষণ, ফাংগাল ইনফেকশন থেকেও টিবিতে আক্রান্ত হন অনেকে। এ সব কারণেই কি মহানগরে টিবি বাড়ছে? কারণ জানতে স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় সমীক্ষা করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপও করা হচ্ছে পুরসভার তরফে।
গত কয়েক বছরে কলকাতায় যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল স্বাস্থ্য ভবন। ওই বৈঠকে টিবি রুখতে কী কী করণীয়, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কলকাতাকে ১০টি জ়োনে ভাগ করতে হবে। প্রতিটি জ়োন ধরে ধরে নজরদারি চালাতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিবি রোগ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের মতে, টিবি আক্রান্ত হলে অনেকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। ফলে সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই টিবি আক্রান্ত রোগীকে খুঁজে বের করাটা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, বেশি সংখ্যায় রোগীর সন্ধান পেলে প্রত্যক্ষ সরকারি নজরদারিতে চিকিৎসা করানো যাবে। এতে ‘ওষুধ-ছুট’ আটকানো যাবে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ পেয়েই পুরসভার সব বরোর স্বাস্থ্যকর্তাদের অ্যালার্ট করা হয়েছে পুরসভার কেন্দ্রীয় অফিস থেকে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘জ়োন তৈরির কাজ শেষের পথে। দ্রুত বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু হবে।’