• পুলিশ ট্রেনিংয়ের শেল ফেটে জখম ২ কিশোর
    এই সময় | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, বাদুড়িয়া: পুলিশ ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত না ফাটা ধাতব শেল নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হলো দুই কিশোর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বাদুড়িয়া থানার আড়বেলিয়ায়। জখম দুই কিশোরের নাম সাজিম মণ্ডল ও শোয়েব গাজি। দু’জনেরই বাড়ি আড়বেলিয়ায়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনের অবস্থার অবনতি হাওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার।

    আড়বেলিয়ার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা এলাকায় সম্প্রতি বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশের ফায়ারিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানো কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো, বন্দুক ফায়ারিং, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ–সহ একাধিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পুলিশকর্মীদের। দু’দিন ধরে চলে পুলিশের ট্রেনিং। ট্রেনিং শেষে ফাঁকা মাঠে শুক্রবার খেলতে যায় এলাকার ছেলেরা। সে সময় সাজিম মণ্ডল নামে এক কিশোর একটি ধাতব বস্তু কুড়িয়ে পেয়ে বন্ধু শোয়েব গাজির কাছে নিয়ে যায়। দু’জনে জিনিসটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যার সময় নাড়াচাড়া করার সময় ধাতব শেলের মধ্যে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ হওয়ায় জখম হয় দুই কিশোর।

    শোয়েবের মুখের বেশ কিছুটা অংশ বারুদে ঝলসে যায়। খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখম দুই কিশোরকে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শোয়েবের অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে কলকাতায় পাঠান। কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।

    এই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল কুমার নাথ বলেন, ‘পুলিশের ট্রেনিংয়ে বিভিন্ন রকমের শেল ফাটানো হয়েছিল। তার মধ্যে কিছু ফাটেনি। এলাকার বাচ্চারা সেগুলি কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাটানোর চেষ্টা করেছে। তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। না ফাটা শেলগুলি পুলিশের কুড়িয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’

    শনিবার সকালে আড়বেলিয়ার ওই পরিত্যক্ত ইটভাটায় যেখানে পুলিশের ট্রেনিং হয়েছিল, সেখানে আসেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা সেখান থেকে ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার করেন। ওই জায়গায় আর কোনও বিস্ফোরক পড়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন পুলিশকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘স্থানীয় একটি ইটভাটায় পুলিশ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে শেল ফাটানো হয়েছিল। সেখান থেকে একটি না ফাটা শেল নিয়ে বাড়িতে যায় দুই কিশোর। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)