• শুরু সেতু সংস্কার, বারাসত থমকাল লরির যানজটেই
    এই সময় | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, বারাসত: ফ্লাইওভার সংস্কারের প্রথম দিনেই যানজটে নাকাল হলো উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসত। যশোহর রোড থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে শনিবার সকালের পর থেকেই দফায় দফায় যানজটে নাজেহাল হতে হয়েছে শহরবাসীকে।

    কলকাতা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বারাসত শহরের উপর দিয়ে যাওযার ফলে এবং ট্রেন চলাচলে ১১ নম্বর রেলগেটের জন্য শহরে যানজট তৈরি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। যদিও বারাসত ট্র্যাফিক পুলিশ কর্তাদের দাবি, ফ্লাইওভার বন্ধ থাকায় শহরের গাড়ি চলাচলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।কলকাতা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের রুটও পরিবর্তন করা হয়েছে। তবুও কিছু ট্রাক শহরে ঢুকে পড়ায় সমস্যা হয়েছে।

    সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বারাসতের ফ্লাইওভারের।এর পর থেকে প্রতি শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কাজ চলবে। ফলে ওই সময় ফ্লাইওভার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ছোট, বড় কোনও গাড়িকেই ফ্লাইওভারে উঠতে দেওয়া হবে না। বাকি দিনগুলিতে যাত্রিবাহী গাড়ি চলাচল করলেও ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না উড়ালপুলে। আগামী ৪০ দিন এই নিয়মেই কাজ হবে বারাসতের ফ্লাইওভারের। কেবল মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে কাজ বন্ধ থাকবে।

    শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করেছেন বারাসত ডিভিশনের পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। চলবে সোমবার ভোর পর্যন্ত। ফ্লাইওভার বন্ধ থাকায় শনিবার বারাসত শহরে যানজট বেশি হয়েছে যশোহর রোডের ডাকবাংলো মোড়, ১১ নম্বর রেলগেট এবং ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। কলোনি মোড় থেকে চাঁপাডালিগামী অটো এবং টোটো জাতীয় সড়ক ধরে ১১ নম্বর রেলগেট অতিক্রম করে সন্ধানী ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে জাতীয় সড়কে ছোট গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজট বেড়ে যায়।

    যানজটের কথা মাথায় রেখেই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী ট্রাকের গতিপথ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ দিন বেশ কিছু ট্রাক যশোহর রোড হয়ে জাতীয় সড়কে ঢুকে পড়ে। ফলে যানজট তৈরি হয়েছে শহরে মধ্যে। মধ্যমগ্রাম হয়ে ডাকবাংলো ঢোকার মুখেই ব্যাপক যানজট ছিল। রথতলা থেকে ডাকবাংলো মোড়ে যানজট বেশি ছিল। ট্রেনের যাতায়াতের সময় ১১ নম্বর রেলগেট বন্ধ রাখার ফলে যানজট বেড়েছে।

    বারাসতের বাসিন্দা প্রত্যুষ সাহা বলেন, ‘রাস্তা জুড়ে গাড়ির চলাচল থমকে যাওয়ায় রাস্তাতেই অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।’ কলকাতা থেকে বাইকে করেই বারাসতে ফিরেছেন সন্দীপ মিত্র। তিনি বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড়ের কাছে বাইক, সাইকেল যাওয়ারও উপায় ছিল না। দশ মিনিটের পথ আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।’

    এই প্রসঙ্গে বারাসত ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তা নীহার রায় বলেন, ‘ভুল করে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক এ দিন বেলার দিকে ঢুকে পড়েছিল শহরে।সেগুলো ঘোরানোর আর জায়গা ছিল না। ফলে ট্রাকগুলোকে ডাকবাংলো হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়েই বের করে দিতে হয়েছে। ফলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে এ দিন ট্র্যাফিক সামাল দেওয়ার জন্য ফোর্স বাড়ানো হয়েছিল। সমস্যা খুব একটা হয়নি।’

  • Link to this news (এই সময়)