ভরসন্ধ্যায় রাস্তা আটকে হকারদের উপর হম্বিতম্বি করার অভিযোগ উঠল খড়্গপুরের অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা এডিআরএম মনীষা গোয়েলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় খড়্গপুর শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ সাইড এলাকায়। এলাকার কাউন্সিলারের সঙ্গেও তর্কাতর্কি হয় এডিআরএম-এর। কাউন্সিলারের অভিযোগ, তাঁর দিকে তেড়ে যান ওই মহিলা রেল আধিকারিক। এই ঘটনায় এডিআরএম-এর বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগও দায়ের করেন কাউন্সিলার রোহন দাস। পাল্টা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনেন এডিআরএম।
অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে সাউথ সাইড এলাকায় হাজির হন এডিআরএম মনীষা গোয়েল। রেলশহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে এলাকার হকারদের উচ্ছেদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল কাউন্সিলার রোহন দাসের কথায়, ‘গরিব লোকজনের দোকান, উনি গিয়ে বলছেন, এখানে বসা যাবে না। আমি খবর পেয়ে যেতেই উনি আমার দিকেও তেড়ে এলেন। আমি কেন এসেছি, তাতেই ওঁর রাগ। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি তো যাবেই। এ নিয়ে আমার সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে দিলেন। এমন ভাবে তেড়ে এলেন, যেন মারবেন। তাই আমি থানায় যাই। কারণ, এর আগেও বস্তিতে এসে উনি এরকম করে গিয়েছেন। রোহনের দাবি, ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘বস্তিতে বাংলাদেশি ভর্তি।’
যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে এই অভিযোগের কথা শুনেই রেগে যান এডিআরএম মনীষা গোয়েল। বলেন, ‘আপনারা তো পক্ষপাতিত্ব করেন। আমার কথা আপনাদের কেন বলব? আর আমি কাউকে মারতে যাবই বা কেন? আমি আমার কাজ করতে এসেছি, আমাকে আটকানো হয়েছে।’
যদিও এলাকার লোকজনের দাবি, এই প্রথম বার নয়, এর আগেও খড়্গপুরে রেল কলোনিতে গিয়ে বাসিন্দাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে এসেছেন। প্রায়ই উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন বলে অভিযোগ। শনিবারের ঘটনা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।