• দামোদরের চর থেকে পাচার গাছ, জানে না সেচ, বন দপ্তর
    এই সময় | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, দুর্গাপুর: জমি থেকে গাছ কেটে পাচারের ঘটনা নতুন নয়। এ বার নদীতে গজিয়ে ওঠা চরে বড় হওয়া গাছও নিস্তার পাচ্ছে না। এমনটাই ঘটছে দুর্গাপুরে। এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের ডিএফও অনুপম খাঁ বলেন, ‘ফরেস্ট ল্যান্ড থেকে গাছ কাটার অভিযোগ পেলে আমরা আইনি পদক্ষেপ করি। রেসিডেন্সিয়াল বা অন্য কোনও এলাকায় গাছ কাটতে হলে বন দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। নদীর চর থেকে গাছ কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’

    অভিযোগ উঠেছে, দুর্গাপুর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আশিসনগরে। সেখানে কয়েকজন বাসিন্দা দিনকয়েক ধরে দামোদরের চর থেকে গাছ কেটে নৌকো বোঝাই করে পাড়ে নিয়ে আসছেন। পরে সুযোগ বুঝে করাত কলে নিয়ে গিয়ে কাঠ কেটে বিক্রি করছেন মোটা টাকায়।

    অন্ডাল থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজের মুখ পর্যন্ত এলাকায় দামোদরে একাধিক চর গজিয়ে উঠেছে। সেখানে বাবলা, শিরীষ সমেত নানা ধরনের গাছ রয়েছে। অভিযোগ, আশিসনগরের কয়েকজন বাসিন্দা সকাল হলেই নৌকো নিয়ে চলে যাচ্ছেন চরে। সেখানে করাত দিয়ে গাছ কেটে টুকরো করে নৌকো বোঝাই করে চলে আসছেন। বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের, কয়েকজন প্রতিবাদও করেছেন। অভিযোগ, প্রতিবাদীদের হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে তার পর আর কেউ ঝামেলায় জড়াননি।

    গাছ পাচার প্রসঙ্গে দুর্গাপুরে রাজ্য সেচ দপ্তরের দামোদর হেড ওয়ার্কসের এসডিও সৌমেন ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘নদীর চর থেকে গাছ কেটে পাচারের ঘটনা আমাদের জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শশাঙ্কশেখর মণ্ডল জানিয়েছেন তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘নদীর চর থেকে গাছ কেটে পাচারের কথা শুনেছি। এ সব কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর চরে বেড়ে ওঠা গাছ পাচারে মাখন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি জড়িত। মাখন সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নদীর চর থেকে গাছ কাটার কোনও অনুমতি নেই তাঁর কাছে। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘চর থেকে গাছ কাটিনি আমি। জ্বালানির জন্য গাছের ডালাপালা কাটা হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)