সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় এ বার রাজ্যে এল মুম্বই পুলিশের তদন্তকারী দল। রবিবার এই দল রাজ্যে এসে পৌঁছয়। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় তদন্তের স্বার্থে পৌঁছবেন তাঁরা। অভিনেতার উপর হামলার অভিযোগে ধৃত বাংলাদেশের বাসিন্দা মহম্মদ শরিফুল ইসাম শেহজ়াদ অসম থেকে ‘চিকেন নেক’ দিয়ে বাংলার শিলিগুড়িতে ঢুকে পড়েছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এমনকী, বাংলার এক মহিলার নাম ভাঁড়িয়ে সিম কার্ডও কেনে সে।
মুম্বই পুলিশের দাবি, সাত মাস আগে মেঘালয়ের ডাউকি নদী পথ পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল এই শরিফুল। অসম হয়ে চিকেন নেক রাস্তা ব্যবহার করে ঢুকে পড়েছিল শিলিগুড়িতে। সেখানে বেশ কয়েক দিন থেকে স্থানীয় খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখের আধার কার্ডের তথ্য ভাঁড়িয়ে সিম কার্ড কিনেছিল সে। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগেই।
ভুয়ো আধার কার্ড তৈরিরও ছক কষেছিল ধৃত শরিফুল। তবে চেষ্টা করলেও বাংলায় বেশ কয়েক দিন থেকেও তা তৈরি করতে পারেনি সে।
সইফ আলি খানকে ছুরি মারার পর ফের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার মতলব ছিল শরিফুলের। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে বুঝতে পেরে সে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টায় ছিল। মু্ম্বই থেকে হাওড়া আসার ট্রেনের টিকিটও কাটতে গিয়েছিল শরিফুল। তবে ট্রাভেল এজেন্ট যে টাকা চেয়েছিল তা সে জোগাড় করে উঠতে পারেনি। টিকিট কাটার আগেই ঠানে থেকে শরিফুল গ্রেপ্তার হয়। হাই প্রোফাইল এই মামলার তদন্তে নেমে এ বার শরিফুলের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া সব ট্রাভেল এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ।
এই ঘটনার পর থেকে ‘চিকেন নেক’ শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শ্রমিকের বেশে সীমান্ত টপকে শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার এই ট্রেন্ড উদ্বেগ তৈরি করেছে।