আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যবসায়ীর বাড়িতে বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চারজনকে গ্রেপতার করেছে আসানসোল পুলিশ। ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হবে। হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধের কিনারা হল। একটি চার চাকার গাড়ি ও দু'টি বাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চারজনই আসানসোলের বাসিন্দা। ধৃতরা হল রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালের অখিলেশ সিং, ডামরার রঘুনাথ কর্মকার, হীরাপুরের রহমত নগরের মহম্মদ সাদ্দাফ আলম ওরফে রাজু এবং মহম্মদ তাবরেজ খান। এর আগেও একাধিক খুন ও লুটের ঘটনায় মামলা চলছে এই চারজনের নামে। ব্যবসায়ীর বাড়ি ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডিসিপি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ধৃতদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ীর পূর্বপরিচিত। ওই ব্যক্তি জানতেন শুক্রবার সকালেই সুবীরবাবুকে কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন ব্যবসার জন্য। সেই টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে দুস্কৃতীরা হামলা চালায়। কিন্তু কর্মচারি মহম্মদ আলির চিৎকারে সুবীর সিঁড়ির কাছে চলে আসেন। দুস্কৃতীরা উপরে উঠে বন্ধুক বার করতেই সুবীর ধাক্কা মেরে তাঁদের ফেলে দেন। এরপরেই সকল দুস্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ডিসিপি বলেন, ''এই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।''
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার আসবাব ব্যবসায়ী সুবীর বাসুর বাড়িতে বন্দুক নিয়ে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বাড়ির অস্থায়ী কর্মচারী মহম্মদ আলির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর করে উপরে সোজা সুবীরের কাছে পৌঁছে যায় দুস্কৃতীরা। কর্মচারী ও সুবীরবাবু চিৎকার চেঁচামেচি করায় ঘাবড়ে গিয়ে দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। পাড়া-প্রতিবেশী ততক্ষণে বাইরে বেরিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়লে বাকি দু'জনও পালিয়ে যায়। তদন্ত শুরু করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল সাফল্য